দৈনিক আলোকিত চাঁদপুরের সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ জাকির হোসেন এর বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৮ জুন) চাঁদপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলা ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রামপুর ইউনিয়নের সকদি পাঁচগাঁও গ্রামের মৃত. শাহ আলম মজুমদারের ছেলে সাইফুল ইসলাম মুজমদার (রাজিব) ও তার ভাই সমিতির মালিক সদস্য সাইদুল ইসলাম, ফখরুল ইসলাম (রাছেল) ও মোঃ সাকিবুল ইসলাম (নিসান) সমিতির নামে বিভিন্ন গ্রাহকের প্রায় ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। পরে ২০১৬ সালে দৈনিক আলোকিত চাঁদপুর পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক জাকির হোসেন ও তার ভাইদের কাছে বসত বাড়ি বিক্রি করে পরিবারের সকল সদস্য উধাও হয়ে যায়।
হঠাৎ ৩ বছর পর ১৪ জুন শুক্রবার সন্ধ্যায় ১৫-২০ জন সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক জাকির হোসেন ও তার ভাইদের ক্রয়কৃত দখলীয় সম্পত্তির প্রাচীর ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে।
১৫ জুন শনিবার বিকেলে একই ঘটনায় এসআই কামাল ঘটনাস্থলে গিয়ে সাংবাদিক জাকির হোসেনের ভাই ও বাড়িতে থাকা মহিলাদের সাথে খারাপ আচরণ করে। এসময় বাড়িতে থাকা অন্তসত্ত্বা মহিলাও এসআই কামালের খারাপ আচরণ থেকে রক্ষা পায়নি।
এ বিষয়ে মাইন উদ্দিনের স্ত্রী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা রীনা বেগম জানায়, আমি ঘরে শুয়ে ছিলাম, হঠাৎ করে দরজায় জোড়ে জোরে ধাক্কা দেওয়ার শব্দ পাই। তখন দরজা খুললে এসআই কামলাকে দেখতে পাই। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করে আপনি কি রীনা বেগম? আমি হ্যাঁ বলার সাথে সাথে আমার বিরুদ্ধে নাকি ওয়ারেন্ট আছে বলে সে জানায়।
এ কথা শুনে রীনা বেগম সঙ্গাহীন হয়ে দরজার সামনে পড়ে আহত হয়। তখন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এগিয়ে এসে তাকে ঘরের ভিতরে নিয়ে যায়।
রীনা বেগম আরো জানায়, এসআই কামাল সাইফুলদের পক্ষ নিয়ে আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে এবং তার স্বামী ও সন্তানদেরকে হারাবে বলেও হুমকী প্রদান করে চলে যায়।
তার এই রূঢ় আচরনের ঘটনা তাৎক্ষনিক চাঁদপুর মডেল থানার ওসি কে জানানো হয়।
পরেরদিন ১৬ জুন রবিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে ফখরুল ইসলাম (রাছেল) ও তার ভাই নিসান সহ ৫-৬ জন সন্ত্রাসী লোকজন নিয়ে সাংবাদিক জাকির হোসেন এর ঘর ও তার ভাই মাইনুদ্দিনের ঘরের দরজা ভেঙ্গে তার অন্তসত্ত্বা স্ত্রীকে একা পেয়ে বেদম মারধর করে আহত করে।
তার ডাক চিৎকারে পরিবারের লোকজন এগিয়ে আসলে রাছেল তার লোকজন নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে রীনা বেগমকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এ ঘটনা মডেল থানা পুলিশকে জানানোর পর ইন্সপেক্টর আব্দুর রহিম ঘটনাস্থলে যান এবং হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসারত রীনা বেগমকে দেখে আসেন।
পরবর্তিতে এ ঘটানায় চাঁদপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।