Home / সাক্ষাৎকার / দেশের অভ্যন্তরীণ জলাশয়ে মাছের চাষ বাড়ছে
fish 21
ফাইল ছবি

দেশের অভ্যন্তরীণ জলাশয়ে মাছের চাষ বাড়ছে

দেশের অভ্যন্তরীণ জলাশয়ে মাছের চাষ বাড়ছে । হারিয়ে যেতে বসা ছোট মাছগুলোকে ফের নতুন করে খাবার টেবিলে ফেরাতে চেষ্টা করছে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই)। ইতিমধ্যে ২৪ প্রজাতির মাছের প্রজনন ও চাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে বিএফআরআই।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট জানায়,দেশে মিঠা পানির ২৬০ প্রজাতির মধ্যে ১৪৩ প্রজাতির ছোট মাছ রয়েছে। এর মধ্যে মলা,ঢেলা,পুঁটি, বাইম,টেংরা, খলিশা, পাবদা, শিং, মাগুর, কাচকি, চান্দা ইত্যাদি অন্যতম। জনসংখ্যা বৃদ্ধি,জলাশয় দখল,সংকোচন, অতি আহরণসহ নানাবিধ কারণে মাছের প্রজনন ও বিচরণক্ষেত্র বিনষ্ট হওয়ার ফলে প্রাকৃতিক জলাশয়ে ছোট মাছের প্রাপ্যতা ক্রমেই কমে যাচ্ছিল।

ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনভেনশন অব ন্যাচারের (আইইউসিএন) তথ্য মতে, দেশে বিলুপ্তপ্রায় মাছের সংখ্যা ৬৪ টি। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট বিলুপ্ত প্রায় ও দেশীয় মাছের ওপর গবেষণা পরিচালনা করে ইতিমধ্যে ২৪ প্রজাতির মাছের প্রজনন ও চাষের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। এর মধ্যে পাবদা, গুলশা, টেংরা, গুচি, আইড়, চিতল, ফলি, মহা শোল, বৈরালী, বালাচাটা, গুতুম, কুঁচিয়া, ভাগনা,খলিশা, গজার ইত্যাদি অন্যতম।

এসব প্রযুক্তি মাঠপর্যায়ে সম্প্রসারিত হওয়ায় বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির মাছের প্রাপ্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তা ছাড়া নদনদী, হাওর ও বিলে দেশীয় মাছের পোনা অবমুক্তকরণ ও মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিলুপ্তপ্রায় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্য মতে, ২০০৯ সালে পুকুরে দেশীয় ছোট মাছের উৎপাদন ছিল ৬৭ হাজার ৩৪০ টন,যা ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এসে ২.৪১ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড.ইয়াহিয়া মাহমুদ জানান, বর্তমান সরকারের সময়ে দেশীয় মাছ সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধারের জন্য মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। বর্তমানে ময়মনসিংহ স্বাদু পানি কেন্দ্র ছাড়াও বগুড়ার সান্তাহার,নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর ও যশোর উপকেন্দ্রে বিলুপ্তপ্রায় মাছ সংরক্ষণে গবেষণা পরিচালনা করা হচ্ছে।

ড.ইয়াহিয়া আরও জানান, ‘দেশের মৎস্য উৎপাদনে দেশীয় ছোট মাছের অবদান ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ। দেশীয় মাছের চাষ বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে হ্যাচারিতেও এর পোনা উৎপাদিত হচ্ছে। পোনা প্রাপ্তি সহজতর হওয়ায় মাঠপর্যায়ে পাবদা, গুলশা, শিং, টেংরা, মাগুর ও কৈ মাছ ব্যাপকভাবে চাষ হচ্ছে। ইদানীং বৃদ্ধি পাচ্ছে বাটা মাছের চাষ। তাছাড়া দেশীয় মাছের চাষাবাদ বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদনসহ লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হচ্ছে।’

বার্তা কক্ষ , ৯ জানুয়ারি ২০২১
এজি