চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার প্রধান সড়কে কাজ চলা অবস্থাতেই সড়কে কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। এ যেনো সড়ক উন্নয়ন বা সংস্কারের নামে তামাশা করা হচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধরে যে সড়কটি নিয়ে মেরামত না হওয়ায় স্থানীয়দের প্রধান দুর্ভোগের কারণ ছিলো সে সড়কেই মেরামত অবস্থায় নষ্ট হয়ে যাওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ ও সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে চলছে তুমুল সমালোচনা।
এ বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান রানা বিল্ডার্সের প্রতিনিধি সমির চক্রবর্তী কার্পেটিং উঠে যাওয়ার বিষয়টি শিকার করে বলেন, রাস্তা বাম্পিং করার কারণে এ অবস্থা হয়েছে। এ ছাড়া বৃষ্টির কারণে এমনটি হতে পারে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তা ঠিক করে দিব।
মেগা প্রকল্পের আওতায় রাস্তার কাজ শুরু হবে যেনে নিম্নমানের কাজ হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বরাদ্ধ যেমন তেমন ভাবে কাজ হচ্ছে, উদাহরণ দিয়ে বলেন, একশ’ টাকা নিয়ে বাজারে গেলে তো আর ইলিশ মাছ কেনা সম্ভন না।’
কিছুদিন পূর্বে সময়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রধান রাস্তা দুটির স্থায়ী সমাধানের জন্য মেগা প্রকল্পের আওতায় কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছেন এবং তিনি সফল ও হয়েছেন। শাহরাস্তি বাসির জন্য সু-খবর হলো আগামী দু’এক মাসের মধ্যেই রাস্তা দু’টির মেগা প্রকল্পের আওতায় টেন্ডার প্রক্রিয়ায় যাবে।
এর আগে ঈদ ও দূর্গা পুজা উপলক্ষে যাতায়াতের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের প্রচেষ্টায় সড়ক ও জনপদ বিভাগের অধিনে ৬১ লাখ ৭৩ হাজার টাকার টেন্ডার দেয়া হয়। দূর্গা পুজার পূর্বে তড়িগড়ি করে সড়কের গর্ত ভরাট করা হলে ও বৃষ্টির অজুহাতে কার্পেটির্ং করা হয় নি।
গত কয়েক দিন ধরে শুরু করা হয়েছে কার্পেটিংয়ের কাজ। শাহরাস্তি গেইট দোয়ভাঙ্গা থেকে শুরু করা হয় এ কাপের্টিংয়ের কাজ। প্রায় দেড় কিলোমিটার কাজ শেষ করে বর্তমানে ঠাকুর বাজার এলাকায় কাজ চলমান রয়েছে। এরই মধ্যে খবর এলো দোয়াভাঙ্গা এলাকায় নব-নির্মিত কাজের ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার কাজ শেষ না হতেই রাস্তার কাপের্টিং নস্ট হয়ে উঠে যাচ্ছে। বেশ কয়েকটি স্থানে এ দৃশ্য দেখা গেছে। কাজ তদারকি করতে আসা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ ওবায়দুল্লাহর সাথে ঠাকুর বাজার এলাকায় দেখা হলে তিনি জানান, রাস্তা নষ্ট হয়েছে আমি দেখেছি, কাজ চলমান অবস্থায় রাস্ত ঠিক করে দেয়া হবে।’
এ বিষয়ে শাহরাস্তি উপজেলা আওয়ামী লীগের উন্নয়ন কমিটির আহবায়ক পৌর মেয়র হাজী আব্দুল লতিফ চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের হলেও জনগণ আমাদের দায়ী করছে। রাস্তাটি নিয়ে আমরা বেকায়দায় রয়েছি। আমি বহুবার বিভিন্ন দপ্তরে কথা বলেটি জেলা উন্নয়ন কমিটিতে বার বার উত্থাপন করেছি সংসদ সদস্য মহোদয় প্রাণপ্রণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে যে কাজ হচ্ছে তা আমি নিজে গিয়ে দেখেছি তারা মান সম্মত ভাবে কাজ করছে না, আমি বলা শর্তেও তারা আমার কথা শুনছে না। রাস্তায় ঠিকমত তৈল দিচ্ছে না, আমি বলেছি টেন্ডারে যে টুকু দর রয়েছে সে অনুযায়ী কাজ করতে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ মারুফ মুঠোফোনে চাঁদপুর টাইমসে জানান, যদি ও এটি আমার কাজ নয় তার পর ও আমি উপজেলা বাসির সমস্যা দেখে বহুবার বিভিন্ন দপ্তরে কথা বলেছি। কাজের নি¤œমানের ব্যপারে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি দেখবো আপনারাও সহযোগীতা করেণ।
শাহরাস্তি পৌরসভার প্যানেল মেয়র বাহার উদ্দিন বাহার জানান, সকালে এলাকার জনগন আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা দেখাতে নিয়ে যায়, আমি দেখে অবাক হয়েছি। এলাকাবসি এ কাজ দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। আমরা প্রতিদিন এলাকবাসির বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখিন হচ্ছি। আমি এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সহায়তায় সংশ্লিষ্ট বিভাগের সহযোগিতা কামনা করছি।
মোঃ মাহবুব আলম
: আপডেট, বাংলাদেশ ০১ : ০৩ পিএম, ১৩ নভেম্বর, ২০১৭ সোমবার
ডিএইচ