চাঁদপুর শহরের যানজট নিরসনে রাস্তা প্রশস্ত করার লক্ষ্যে এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে শহরের প্রাণকেন্দ্রে নির্মাণ হতে যাচ্ছে দৃষ্টিনন্দিত চত্বর। এজন্য ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে শহরের প্রাণ কেন্দ্রে থাকা পুরনো শপথ চত্বরটি।
৩০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ শহরের কালী বাড়ি রেলওয়ে বাইতুল আমিন জামে মসজিদের সামনে থাকা শপথ চত্বরটি ভেঙ্গে ফেলার কাজ করতে দেখা গেছে। আর এই পুরোনো চত্বরটি ভেঙ্গে ফেলার কাজ সম্পন্ন হলে। সেখানে নতুন করে স্থাপন করা হবে দৃষ্টিনন্দিত একটি চত্বর। তবে নতুন চত্বরটি কি নামকরণ দেয়া হবে তা এখনো জানা যায়নি।
জানা যায়, চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন সড়ক গুলোতে প্রতিনিয়ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে শহরের শপথ চত্বর এলাকায় অনেক বেশি যানজট লেগে থাকতে দেখা যায়। এর কারণ হলো, যে পরিমাণে শহরে যানবাহন চলাচল করে থাকে। সে পরিমাণে শপথ চত্বর এলাকার সড়ক প্রশস্ত নয়। এছাড়াও বর্তমানে পুরনো এই শপথ চত্বরটি যতটা জায়গা জুড়ে নির্মাণ করা হয়েছিলো। সে জায়গার কারনে চত্বরটির চারপাশে থাকা সড়কে অনেক জায়গা কমে গেছে। এছাড়া পথচারী এবং ফুটপাত ব্যবসায়ী কারণেও অনেক সময় এ যানজটের সৃষ্টি হয়। এজন্য চাঁদপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে সেখানে দৃষ্টিনন্দিত চত্বর নির্মাণ করতে যাচ্ছে।
এর বেশ কিছুদিন চাঁদপুর পৌরসভার নগর সমন্বয় কমিটির টিএলসিসির কমিটির এক সভায় মেয়র অ্যাড. জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেন, সকলের মতামতের ভিত্তিতে চাঁদপুর শহরের শপথ চত্বরটি ভেঙ্গে ফেলা হবে। এখানে নামের সাথে মিল রেখেই আরো দৃষ্টিনন্দন একটি চত্বর করা হবে। এজন্য ডিজাইনও করা হয়ে গেছে। যা অবশ্যই আরো সুন্দর হবে। বর্তমান শপথচত্বরটি নামের সাথে বাস্তাবের মিল নেই। তাছাড়াও এটি বিশাল জায়গা জুড়ে করার কারনে এক পাশ থেকে অন্য পাশের যানবাহন দেখা যায় না। এর পরিসর কমিয়ে আনা হবে। পাশাপাশি চাঁদপুরের অঙ্গিকার স্মৃতিসৌধের সংস্কার করা হবে বলেও তিনি বলেন। এরই প্রেক্ষিতে ১৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে বর্তমানের পুরনো শপথ চত্বরটি ভেঙ্গে ফেলতে দেখা যায়। এটি ভেঙ্গে ফেলা হলে সেখানে দৃষ্টি নন্দিত চত্বর নির্মাণ করা হবে।
জানা যায়, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনা ও সংগ্রামের পটভূমিকে সমুন্নত রাখতে চাঁদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে পাঁচ রাস্তার মোড়ে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্যটি শপথ চত্বর নামে অভিহিত। এ ভাস্কর্যে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনা ও চাঁদপুরের ঐতিহ্য রুপালি ইলিশের বিমূর্ত প্রতীক স্থান পেয়েছে। চাঁদপুর পৌরসভার অর্থায়নে প্রখ্যাত ভাস্কর স্বপন আচার্য এটি নির্মাণ করেন। দৃষ্টিনন্দন এ ভাস্কর্যটি সকলেরই নজর কাড়ে। কিন্তু যুগের পরিবর্তনে বর্তমান সময়ে ছোট্ট এই শহরটিতে মানুষজনের পাশাপাশি যানজট বৃদ্ধি পাওয়ায় শহরের সৌন্দর্য বর্দনে সেখানে নতুন করে নির্মাণ হতে যাচ্ছে দৃষ্টিনন্দিত চত্বর।
প্রতিবেদক: কবির হোসেন মিজি, ১ জানুয়ারি ২০২১