Home / ইসলাম / একসাথে দু’পুরুষ শোয়ার শরিয়তের বিধান
একসাথে দু'পুরুষ শোয়ার শরিয়তের বিধান

একসাথে দু’পুরুষ শোয়ার শরিয়তের বিধান

যে কারণে রাসুল সা. দু’জন পুরুষকে একসাথে এক কাঁথার তলে শুতে নিষেধ করেছেন।

রাসুল সা. বলেন,

لا يفض الرجل الي الرجل في ثوب واحد

‘দু’জন পুরুষ কখনো এক চাদরের তলে শুবে না।’ [মেশকাত]

হযরত শাহ অলিউল্লাহ মোহাদ্দেসে দেহলভী রহ. এ হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেন, এক চাদরের তলে শুতে এজন্য নিষেধ করা হয়েছে যে, তাতে যৌন উত্তেজনা আসে; অনেক সময় তা সমকামের কারণ হয়। এ হাদিসের আলোকে ইমাম রাজি বলেন, দু’জন এক বিছানায় শোবে না, চাই বিছানার কিনারে শুক না কেনো। [তাফসিরে কাবির]

আধুনিক মনোবিজ্ঞান তাই বলে। দু’জন একসাথে শোয়া কোনো অবস্থায় ক্ষতি থেকে মুক্ত নয়। অন্যান্য কারণের মত আরেকটা কারণ হলো রাসুল সা. বারণ করেছেন। তিনি বলেন,

مروا اولادكم بالصلوة وهم ابناء سبع سنين واضربوهم عليها وهم ابناء عشر وفرقوا بينهم في المضاجع (رياض الصلحين)

‘সাত বছর হলে তোমরা ছেলেমেয়েদের নামাযের তাকীদ করো। দশ বছর হলে নামাযের জন্য প্রয়োজনে প্রহার করো। এবং তাদের বিছানা পৃথক করে দাও।’ [রিয়াজুস সালেহীন]

এ বয়সের বালকদের বিছানা পৃথক করে দেয়া মনোবিজ্ঞানের দৃষ্টিতেও অনেক উপকারী। শরীর স্বাস্থ্যে ভালো থাকে। বয়সের এ সময়টাতে তাদের মাঝে যৌন কামনা আসে। এযুগে আরো বেশি সতর্ক থাকা দরকার। কেননা চারপাশে অশস্নীল যৌনউত্তেজক ছবির ছড়াছড়ি। তাই তো বালক যুবা প্রায় সকলের মাঝেই দেখা যায় প্রচণ্ড যৌন তাড়না।

আরেকটি বিষয় লক্ষণীয়, এক পুরুষের জন্য অন্য পুরুষের সতর দেখা যেমন হারাম বিনা প্রয়োজনে আড়াল ছাড়া তা ছোঁয়াও হারাম। তবে মুসাফাহা মুআনাকা হারাম নয়।

ফতহুল বারি হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রহ. স্পষ্ট বলেছেন, ‘অন্যের সতর স্পর্শ করা হারাম, চাই শরীরের যে কোনো অংশ দ্বারা হোক।’ [ফতহুল বারি]

অনেকে আছেন হাঁটু খুলে বাচ্চা দিয়ে মালিশ করান, তেল লাগান; এটাকে দোষের কিছু মনে করেন না, তাদের সতর্ক হওয়া উচিত।

রাসুল সা. বলেন :

لا ينظر الرجل الي عورة

‘কোনো পুরুষ যেনো অন্যের লজ্জাস্থান না দেখে।’ [মুসলিম]

নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ ১২ : ০৫ পিএম, ২৪ অক্টোবর, ২০১৭ মঙ্গলবার
এইউ

Leave a Reply