দীর্ঘ ৭ মাস পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থেকে চাঁদপুরের জাকিয়ার লাশ এনে নিজ এলাকায় দাফন করা হয়েছে। রোববার (২৪ জুলাই) ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতি জাকিয়ার লাশ উত্তলোন করে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
চাঁদপুর মডেরল থানা উপপরিদর্শক (এসআই) নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া তার বোন পাপিয়ার কাছে লাশ হস্তান্তর করেন। পরে ওইদিন রাতেই চাঁদপুর শহরের মাদ্রাসা রোড় মুসলিম কবস্থানে লাশ দাফন করা হয়।
এর আগে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ আব্দুল হাইয়ের লিখিত নির্দেশে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ বোন পাপিয়াকে সাথে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে যায়।
এ বিষয়ে আলোচিত হত্যার শিকার গৃহবধু জাকিয়ার ছোট বোন পাপিয়া বেগম চাঁদপুর টাইমসকে জানায়, ‘জাকিয়া আপা অনেক আদর করতো। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে হত্যার শিকার হয়ে অজ্ঞাত লাশ হিসেবে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় মাটি দেয়া হয়। বোনের মৃত্যুর খবর পেয়ে ও তার কবর অন্য জেলাতে হওয়ায় আমি ও আমার পরিবার মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ি। এরপর দীর্ঘ ৭ মাস বিভিন্ন চড়াই-উতরাই পেরিয়ে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের সহযোগিতায় ২৪ জুলাই বোনের লাশ উত্তোলন করে নিজের জন্ম শহর চাঁদপুরে এনে আমার মায়ের কবরের পাশে দাফন করতে সক্ষম হয়েছি। এজন্য আমি জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
প্রসঙ্গত, চাঁদপুর শহরের হাজী মহসিন রোডের ছায়াবানী সিনেমা হলের পেছনের বাসিন্দা শহীদ মিয়ার স্ত্রী জাকিয়া বেগম (৩৬) এর লাশ গত ১৭ ডিসেম্বর ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়ার নবীনগর থানা এলাকায় একটি বিলের মাঝে ক্ষত বিক্ষত অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করে। পরে ময়না তদন্ত শেষে লাশটি অজ্ঞাত হিসেবে আঞ্জুমান মফিদুল ইনসানের মাধ্যমে সেখানেই দাফন করে।
পরে পুলিশ তদন্তে জানা যায়, মোবাইল ফোনে পরকীয়া প্রেমের সূত্র ধরে জাকিয়াকে চাঁদপুর থেকে নিজ এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে নিয়ে খুুন করে মুরগী খামারের কর্মচারী দুই সন্তানের জনক খায়ের।
খায়ের ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকার একটি মুরগির খামারের কর্মচারী হিসেবে কাজ করতো।
ওই সময় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খায়ের হত্যাকা-ের কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কমকর্তা এসআই নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া
বর্তমানে অভিযুক্ত খায়ের জেলহাজতে রয়েছে।
নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১:০১ পিএম, ২৫ জুলাই ২০১৬, সোমবার
ডিএইচ