Home / সারাদেশ / বন্যাদুর্গতদের জন্য ত্রাণের অভাব নেই : মায়া
Maya-chodhuary

বন্যাদুর্গতদের জন্য ত্রাণের অভাব নেই : মায়া

‘বন্যাদুর্গত এলাকার বানভাসী মানুষের জন্য ত্রাণের কোনো অভাব নেই, আমাদের হাতে খাদ্যের কোনো অভাব নেই দুর্গতদের ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য স্পিড বোট কেনার প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।’

জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন বুধবার (২৭ জুলাই) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কার্যঅধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান।

বন্যাদুর্গত এলাকায় যাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকরা হেলিকপ্টার চেয়েছেন কিনা- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, হেলিকপ্টার চায়নি, তারা বলেছে স্পিড বোট দেন।

‘এজন্য আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্প নিয়েছি। ১৩-১৮ জেলায় রেসকিউ বোট দেবো, তার ব্যবস্থা নিচ্ছি। তাৎক্ষণিক যেন ত্রাণের মাল নিয়ে যেতে পারেন। ত্রাণের মাল নিয়ে যাওয়ার জন্য তারা ছোট ছোট মিনি ট্রাক চেয়েছেন। এগুলো ক্রয় করে তাদের হাতে পৌঁছে দেবো।’

বন্যা মোকাবেলায় উদ্যোগগুলো তুলে ধরা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে তিন ধাপে নয়টি জেলায় ১০ হাজার মেট্রিক টন চাল, সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছি, নয়টি জেলায় প্রায় চার হাজার মেট্রিক টন চাল পৌঁছে গেছে। এর মধ্যে জিআর চাল, জিআর ক্যাশ, শুকনো খাবার কেনার নগদ টাকা এবং শুকনো খাবার পৌঁছে দিয়েছি।

ত্রাণমন্ত্রী বলেন, পানি বাড়তে শুরু করেছে, আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ইতোমধ্যেই যেসব মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন তাদের সরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যতোদিন পানি না নামবে আশ্রয়কেন্দ্রে যারা থাকবেন তাদের সেখানেই খাওয়ার ব্যবস্থা করবো, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখছি।

আমাদের হাতে খাদ্যের কোনো অভাব নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে। যে ১০ হাজার মেট্রিক টন চাল ও সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা তাৎক্ষণিক দেওয়া হয়েছে সেগুলো দুস্থ মানুষের হাতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ডিসিদের নির্দেশনা দিয়েছি। তারপরও যদি প্রয়োজন হয়, চাহিদা পাঠাবেন আমরা পাঠিয়ে দেবো। আমাদের হাতে খাদ্যের কোনো অভাব নেই।

‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা, একটি মানুষও যেন না খেয়ে না মারা যায়, কারও যেন কষ্ট না থাকে, এ বিষয়ে আমরা কাজ করবো।’

জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসে পানি বাড়ে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তা মোকাবেলার জন্য আগাম প্রস্তুতি নিয়েছি। ইতোমধ্যে বগুড়া, রংপুর, সিরাজগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা সফর করেছি। বাকি যে জেলাগুলো আছে সেখানে পানি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সরেজমিনে দেখে ব্যবস্থা নেবো।

আরেক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ নিয়ে কথা হয়নি, শুধু উন্নয়ন নিয়ে কথা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় জিআর চাল বন্ধ রাখা হলেও শিগগিরই নতুন নীতিমালা করে ফের জিআর চাল চালু করা হবে বলে অধিবেশনে জানানো হয়।

প্রতিজেলায় ত্রাণ গুদাম, ১৫ মিটারের মধ্যে ১৩ হাজার ব্রিজ, ২২০টি নতুন আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়।

অধিবেশনে আরও জানানো হয়, সরকার ২১টি জেলাকে ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এলাকা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে।

বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণের অপ্রতুলতার বিষয়গুলো সরকারের নজরে এসেছে। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের আরও যত্নবান হতে বলা হয়েছে। আর ত্রাণ সহায়তার তথ্য সংবাদকর্মীদের সরবরাহ করার ওপর জোর দেওয়া হয়। (উৎস- বাংলানিউজ)

: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৬:০০ পিএম, ২৭ জুলাই ২০১৬, বুধবার

ডিএইচ

Leave a Reply