বাজারে পাওয়া যাচ্ছে শীতকালীন সবজি টমেটো। পুষ্টিগুণে ভরপুর টমেটো সারা বছর পাওয়া গেলেও শীতকালে দাম কম থাকে। সবজি এবং সালাদ হিসেবে ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ টমেটোর বেশ চাহিদা।
এ সবজিতে প্রচুর পরিমাণে আমিষ, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-এ এবং ভিটামিন-সি রয়েছে। টমেটোতে লাইকোপেন নামে বিশেষ উপাদান রয়েছে, যা ফুসফুস, পাকস্থলী, অগ্ন্যাশয়, কোলন, স্তন, মূত্রাশয়, প্রোস্টেট ইত্যাদি অঙ্গের ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে।
সবজি হলেও টমেটোর মধ্যে ফলের সমুদয় গুণ বিদ্যমান। তাই এটি রান্না না করেও খাওয়া যায়। এতে সোডিয়ামের পরিমাণ কম থাকায় স্বাস্থ্যকর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। টমেটোতে থাকা পটাশিয়াম ধমনিকে সম্প্রসারিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
টমেটোতে রয়েছে আঁশ, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি এবং কলিন নামক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। এসবই হার্টের স্বাস্থ্যর জন্য উপকারী। এতে থাকা উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়, হাড়ে খনিজ উপাদান সংরক্ষণে রাখে এবং কিডনিতে পাথর জমতে দেয় না।
গবেষণায় দেখা গেছে, টাইপ ১ ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা আঁশসমৃদ্ধ সবজি খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এক কাপ চেরি টমেটোতে ২ গ্রাম আঁশ পাওয়া যায়। টমেটোতে উচ্চমাত্রায় পানি এবং আঁশ রয়েছে।
এটি শরীরকে আর্দ্র রাখতে সহায়তা করে এবং হজমে সহায়ক। টমেটো লাইকোপেন, লুটেইন এবং বেটা ক্যারোটিনের ভালো উৎস। এগুলো শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা চোখের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে।
নিয়মিত টমেটো খেলে ত্বকে বলিরেখা পড়তে দেয় না, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। সর্বোপরি ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
বার্তা কক্ষ , ২২ ডিসেম্বর ২০১৯