Home / সারাদেশ / তলিয়ে গেছে চারণভূমি, বিশুদ্ধ পানির সংকট
তলিয়ে

তলিয়ে গেছে চারণভূমি, বিশুদ্ধ পানির সংকট

উজানের পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়ছে। তিস্তা নদীর পানি কমলেও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ধরলা, দুধকুমার ও গঙ্গাধর নদের পানি কমছে। পানি বাড়ায় ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নদের তীরবর্তী জমির ফসল ডুবে গেছে। তলিয়ে গেছে গবাদি পশুর চারণভূমি। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) দুপুরে জানায়, ব্রহ্মপুত্রের পানি নূন খাওয়া পয়েন্টে বেড়ে বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার, চিলমারী পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার, ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে কমে বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ও দুধকুমারের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে কমে বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে কমে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বুধবার সরেজমিন সদরের পোড়ার চর, খেয়ার আলগা, ভগবতীপুর ও চিড়া খাওয়ার চরে দেখা যায়, শৌচাগার ডুবে থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন বাসিন্দারা। এ ছাড়া সেখানে বিশুদ্ধ পানির সংকট। চারণভূমি তলিয়ে যাওয়ায় গোখাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার। কেউ কেউ ত্রাণ পেলেও অধিকাংশই না পাওয়ার অভিযোগ করেন।

পোড়ার চরের বাসিন্দা হাজরা বেওয়া বলেন, ‘পাঁচ দিন হয় বানের পানিত পায়খানা ডুবি গেইছে। খাবার পানির কলও তলে আছে।’ খেয়ার আলগা চরের বাসিন্দা আলো খাতুন বলেন, ‘স্বামী বাড়িত নাই, শহরে কাজে গেছে। বাচ্চা ৩টা ছোট। তাদের ধরে নিজে নৌকা চালায় যাচ্ছি। কী করব, চলাফেরা তো করা নাগবে।’

সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর জানান, ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার প্রায় ২০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবলু মিয়া বলেন, এলাকার কয়েকটা চরে ব্রহ্মপুত্রের পানিতে প্রায় ৭০০ পরিবার পানিবন্দি। সরকারের থেকে পাওয়া ৪ টন চাল পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হবে।

কুড়িগ্রাম পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, আগামী এক দিনে তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমারের পানি কিছুটা কমবে এবং ব্রহ্মপুত্রের পানি বেড়ে কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, বন্যার জন্য বরাদ্দ ৩৬২ টন চাল, ৫ লাখ নগদ টাকা ও ৩ হাজার ৭০০ প্যাকেট শুকনো খাবার উপজেলাভিত্তিক চাহিদামতো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেসব বিতরণের কাজ চলমান। শিশুখাদ্য বাবদ ২ লাখ ও গোখাদ্য কেনা বাবদ ৫ লাখ টাকা মজুত আছে।

টাইমস ডেস্ক/ ৩০ আগস্ট ২০২৩