আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংবিধান পরিবর্তন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার কোনোভাবেই সম্ভব নয়। নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ীই হবে। সংবিধানে অন্যপথ থাকলে বিএনপি তা খুঁজে বের করুক। ক্ষমতার পরিবর্তন চাইলে নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিকল্প নেই।
রোববার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বর্ণযুগ’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির ৫০ লাখ নেতাকর্মীর নামে মামলার দাবি অযৌক্তিক, বানোয়াট ও মিথ্যা। এগুলো বিএনপির মিথ্যাচারের গল্প। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে নির্যাতন করেছে, মামলা দিয়েছে। মায়ের জানাজা এমনকি ঈদের নামাজে অংশ নিতে পারেনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
‘নির্বাচনের আগে ৫০০ স্কুল পুড়িয়েছে, ভূমি অফিসে আগুন দিয়েছে, মানুষ পুড়িয়েছে। কী বীভৎস দিন! কত নিষ্ঠুর বিএনপি! মির্জা ফখরুল এখন খুন ও মাদকের মামলার আসামির পক্ষে বিবৃতি দেন।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের পাহারাদার আছে, থাকবে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জীবনের নাম শেখ হাসিনা। ২০ বার তাকে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে তিনি জীবনের জয়গান করেন। শেখ হাসিনা পরবর্তী নির্বাচন নয়, পরবর্তী প্রজন্ম নিয়ে ভাবেন। পরবর্তী প্রজন্মের উন্নয়ন সাধনই তার চূড়ান্ত লক্ষ্য।
১৪ বছরে বাংলাদেশ বদলে গেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের এই স্বাপ্নিক উন্নয়নের রূপকার হচ্ছেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা বাধা উপেক্ষা করে দেশে ফিরে এসেছিলেন বলেই গণতন্ত্র শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছে, যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধু হত্যাকারী এবং জেলহত্যার বিচার হয়েছে, দেশে প্রথম আইনগতভাবে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্রমেই গণতন্ত্র ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে ত্রুটিমুক্ত করছে।
আর বিএনপি গণতন্ত্রের নবজাতককে গলাটিপে মেরে ফেলেছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, দেশে ভোট জালিয়াতি, রাষ্ট্রপতি নিয়ে হ্যাঁ-না ভোট, দলীয় লোক আজিজকে নির্বাচন কমিশনের প্রধান বানানো, মাগুরা মার্কা নির্বাচন, ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার বানিয়েছিল বিএনপি। যার জন্য ওয়ান-ইলেভেন সৃষ্টি হয়েছিল। বিএনপির ঘরেই গণতন্ত্র নেই, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে কিভাবে?
বার্তা কক্ষ, ১৯ নভেম্বর ২০২৩