সারাদেশের ৯টি শিক্ষক-কর্মচারী সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত কেন্দ্রিয় শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটির ঘোষিত ‘ চল চল ঢাকায় চল’ কর্মসূচির আলোকে আজ বুধবার (১৪ মার্চ) সকাল ১০ টায় ঢাকার কেন্দ্রিয় শহিদ মিনারে শিক্ষক মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ঐ মহাসমাবেশে চাঁদপুরের কলেজ শিক্ষক সমিতি, জাতীয় শিক্ষক-কর্মচারী ফ্রন্ট,বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষক সমিতি,মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি,মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি ও কর্মচারী ফেডারেশনের সকল জেলা-উপজেলা কমিটির সদস্যসহ সকল শিক্ষক-কর্মচারীদের ঢাকার সুপ্রীম কোর্টের দক্ষিণ গেইটে বেলা সাড়ে ১০ টার মধ্যে সমেবেত হওয়ার জন্যে চাঁদপুর শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যক্ষ সাফায়াৎ আহমদ ভূঁইয়া অনুরোধ জানিয়েছেন।
এ ছাড়াও সকল শিক্ষক সংগঠনের সমন্বয়ে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণসহ ১১ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কেন্দ্রিয় শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটির ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে চাঁদপুর জেলায় ‘ শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটি ’র আহবানে সোমবার (১২ মার্চ ) সকাল ১১ টায় চাঁদপুর কেন্দ্রিয় শহিদ মিনারে সমেবেত হওয়ারও আহবান জানান তিনি।
প্রসঙ্গত,দেশের শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবিসহ ১১ দফা বাস্তবায়নে ঢাকায় সারদেশের ৯ টি শিক্ষক সংগঠন নিয়ে শিক্ষক-কর্মচারী কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই সংগঠনের নেতৃবৃন্দের ডাকে শিক্ষক-কর্মচারীরা এখন আন্দোলনের মাঠে এবং দাবি আদায়ে ইতোমধ্যেই জেলায়-উপজেলায় সংগ্রাম কমিটি গঠন করছেন। ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ১৬ ফেব্রæয়ারি প্রতিনিধি সভায় ১৪ মার্চ শিক্ষক মহাসমাবেশের এ ডাক দেন এবং চল চল-ঢাকায় চল কর্মসূচি হাতে নেয়।
সারাদেশে এ ব্যাপারে পোস্টার ও লিপলেট বিতরণ করা হয়েছে। কেন্দ্রিয় শিক্ষক সংগ্রাম কমিটি ১৪ মার্চ ঢাকায় কেন্দ্রিয় শহিদ মিনারে সকাল ১০ টার মধ্যে দেশের মাধ্যমিক ও কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের সমাবেশ ঘটানোর আহবান জানান।
অতীতের সকল শিক্ষক আন্দোলনের চেয়ে এবারের শিক্ষক আন্দোলনের প্রেক্ষাপট,ব্যাপ্তি ও ঐক্য বেশ মজবুত। শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ করে বেরকারি-বেসরকারি বৈষ্যম্যের অবসান করানোর জন্যে সরকারকে অনেক পূর্বেই জানানো হয়েছে।
জাতীয় শিক্ষক কর্মচারী ফ্রন্টসহ ৯ সংগঠন ‘ শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণসহ ১১ দফা’ দাবি বাস্তবায়নে রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ১০ টায় কেন্দ্রিয় কমিটির আহবানে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি ও স্মারকলিপি প্রদান করেন।
অবহেলিত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার ন্যায্য দাবি আদায়ে দেশের ৯টি শিক্ষক সংগঠন আন্দোলনের ডাক দেয়। দাবিসমূহের মধ্যে রয়েছে-শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ,৫% বার্ষিক প্রবৃৃদ্ধি,পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা,বৈশাখি ভাতা, বাড়ি ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধি, স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রধানশিক্ষক ও সহকারী প্রধানশিক্ষকের বেতন স্কেল সরকারি প্রধানশিক্ষক ও সহকারী প্রধানশিক্ষকদের মত প্রদান,পূর্ণাঙ্গ পেনশন সুবিধা বৃদ্ধি,শিক্ষাখাতে জিডিপি’র ৬% ও জাতীয় বাজেটে ২০% বরাদ্দ,শিক্ষাবিভাগে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ৫% প্রেষণে নিয়োগ দান ,কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নে কারিগরি ও ভোকেশনাল বিশ্ববিদ্যালয স্থাপন ও জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে হবে ।
এ সব দাবিসমূহ বাস্তবায়ন করতে জাতীয় শিক্ষক নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে ৯ টি শিক্ষক সংগঠন থেকে ২৭ সদস্য বিশিষ্ঠ একটি শক্তিশালী‘ শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রম কমিটি ’ গঠন করা হয়েছে।
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৮:০০ পিএম,১০ মার্চ ২০১৭,শনিবার
এজি