গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি মন্ত্রণালয়ের একটি যুগোপযোগী প্রকল্পের নাম লার্নি এন্ড আর্নি প্রজেক্ট (এলইডিপি)।
আল্লাহর উপর ভরসা করে গত বছরের ডিসেম্বর গুরু ট্রেইনার হিসেবে এ প্রকল্পে যোগদান করে চাঁদপুর জেলায় কাজ শুরু করলাম। এক্ষেত্রে আমার প্রাণপ্রিয় ট্রেইনার সোহেল স্যারের দিকনির্দেশনা ও অনুপ্রেরণা পেয়ে প্রশিক্ষণার্থীদের পেছনে প্রাণপণ পরিশ্রমর আর মেধার ব্যয় করতেছি।
আশা ছিল, ভাল কিছু একটা হবেই। আলহামদুলিল্লাহ, যেহেতু প্রজেক্ট নতুন তাই কিছু ভুল-ভ্রান্তি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এরপরও মহান আল্লাহর রহমতে গত কয়েকটি মাসের রেজাল্ট আমাকে নতুন করে স্বপ্ন দেখাচ্ছে । ইনশাল্লাহ, অনেক ভাল কিছু অপেক্ষা করছে আমাদের সবার জন্য ।
এ সফলতার মুল কারিগর কারা ?
অবশ্যই এ কোর্সের সফলতার মূল কারিগর প্রশিক্ষণার্থী স্বয়ং নিজে । কারণ, আমরা হাজারও চেষ্টা করলেও যদি প্রশিক্ষণার্থীর নিজের ইচ্ছা আর চেষ্টা না থাকে তাহলে কোনভাবেই সফলতা সম্ভব নয় । তবে এক্ষেত্রে একটি ব্যাপার বেশ লক্ষণীয় যে , চাঁদপুরের প্রশিক্ষণার্থীদের শেখার ইচ্ছাশক্তি খুব প্রবল । এই অসাধারণ ইচ্ছা শক্তি যদি তাদের মাঝে এভাবে সজীব থাকে তাহলে এরা এগিয়ে যাবে বহুদূর।
সরকারের এই প্রজেক্ট থেকে আমি কি পেলাম!
যদি অর্থ দিয়ে বিচার করি, তাহলে তা হবে চরম বোকামি । চাঁদপুর আমার নিজের শহর। এই শহরকে মনপ্রান দিয়ে ভালোবাসি । আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া এটাই যে, নিজের শহরের জন্য কিছু করতে পারছি , পারছি নিজের হাতে কতগুলো ছেলের জীবনের মোড় ঘুরানোর অন্যতম রূপকার হতে । যারা এই কোর্সে না আসলে হয়তো আজে বাজে রাস্তায় সময় নষ্ট করতো । এদের দোয়া আর ভালবাসা পেয়ে আমি নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি । আমার স্বপ্ন এই যে, আমার শহরের এই ২৫০ জন প্রশিক্ষণার্থীর ভাগ্য পরিবর্তন হলে গোটা চাঁদপুরের চেহারা বদলে যাবে একদিন ইনশাল্লাহ।
যাদের কাছে কৃতজ্ঞতা না জানালেই নয়ঃ
কৃতজ্ঞতা জানাই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মাননীয় উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনায়েদ আহমেদ পলক।
ধন্যবাদ জানাই মাননীয় জেলা প্রশাসক আব্দুর সবুর মন্ডল, মাননীয় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব, শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ আবদুল হাই, মাননীয় এপি মুহাম্মদ হারুন রশিদ এবং রেডিসন ডিজিটাল টেকনোলজির সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব দেলোওয়ার হোসেন ফারুক স্যারদের।
এই দিনে যাকে সবচেয়ে বেশি মিস করি
আমার আজকের এই দক্ষতা,সম্মান,অর্জন যার উসিলায় ওই মানুষটাই আজ আমার পাশে নেই । আমাকে উপরে উঠিয়ে দিয়ে তিনি এখন অন্য জেলায় । আমার পরম শ্রদ্ধেয় শিক্ষক, বড় ভাই জনাব এস এম সোহেল ইয়াহহিয়া । উনি পাশে থাকলে হয়তো সফলতার পরিমাণ আরও অনেক বেশি হতো । আল্লাহর কাছে এটাই কামনা করি, যেন আমি আমার শিক্ষককে আবারও যেন পাশে পাই ।
আমার সহযোদ্ধা যারা ছিলেন
ফাহিম ফারায়েজ , রাসেল আহমেদ রাজু ও দেলোয়ার হোসাইন । প্রজেক্ট সফল করার জন্য এই তিনজন আমাকে প্রাণপণ সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছেন । যাদের সহযোগিতার কথা অস্বীকার করলে চরম ভুল হবে । আমি তাদের কাছেও কৃতজ্ঞতা জানাই ।
পরিশেষে সবার কাছে দোয়া চাচ্ছি যাতে আমরা খুব দ্রুত আমাদের স্টুডেন্টদেরকে সফলতার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে পারি ।
লেখক- জাহাদুল ইসলাম
ট্রেইনার,
গ্রাফিক ডিজাইন, এলইডিপি, চাঁদপুর।
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৫: ০৩ এএম পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০১৭, বুধবার
ডিএইচ