জেলা প্রতিনিধি, যশোর:
ফেসবুকে তিন তরুণী ফ্রেন্ডের সঙ্গে প্রেম করে তবিবর রহমান নামে নৌবাহিনীর এক সদস্য শেষ পর্যন্ত ধরা খেয়েছেন পুলিশের হাতে।
শনিবার বিকেলে যশোর শহরের ডা. আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজের সামনে তাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয় ওই তরুণীদের স্বজনরা।
তবিবর মণিরামপুর উপজেলার নেহালপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে।
কোতোয়ালি থানার এএসআই জাহিদ হোসেন জানান, তবিবর এক সঙ্গে তিন মেয়ের সাথে প্রেম করতেন। রোববার দুপুরে তিনি একজনের সাথে দেখা করতে যশোরে আসেন। ওই মেয়ের সাথে ছিল তবিবরের পূর্বের প্রেমিকা। তারা আগে থেকেই সেখানে কয়েকজনকে সংবাদ দিলে তবিবরকে ধরে তারা গণপিটুনি দেয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে আসে।
তবিবর রহমান জানান, তিনি ৫ বছর হলো নৌবাহিনীর ল্যান্স করপোরাল হিসাবে চাকরি করছেন। বর্তমানে খুলনায় আছেন। ফেসবুকের মাধ্যমে শহরের বারান্দীপাড়ার রুকাইয়া নামে এক মেয়ের সাথে তার বন্ধুত্ব হয়। রুকাইয়া ফেসবুক আইডিতে নিজের নাম জেরিন জান্নাত হিসাবে পরিচিত। তিনি তাকে বিয়েরও প্রস্তাব দেন। কিন্তু জেরিন তার সাথে নানা ছলছাতুরির আশ্রয় নেয়। সে তার খালাতো বোন মরিয়ন শাহরিয়ারকে পরিচয় করিয়ে দেয়। মরিয়মকেও তিনি বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু মরিয়াম বিবাহিত বলে রাজি হয়নি। পরে তারাই তাদের অপর বন্ধু ইন্নাকে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় করিয়ে দেয়। তিনি কথা বলতে থাকলে রোববার তারাই পরিকল্পিভাবে শহরে ডেকে নিয়ে আসে।
তবিবর আরো বলেন, আমি একজনের সাথে প্রেম করেছি। তাকে বিয়েরও প্রস্তাব দিয়েছি। কিন্তু তিনজনে একত্রিত হয়ে তাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। ওই তিন নারীর সাথে তিনি কোনো প্রতারণা করেননি। তিন জনের মধ্যে রুকাইয়া ও ইন্না মহিলা কলেজে এবং মরিয়ম আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজে লেখাপাড়া করে বলে তবিবর জানিয়েছেন।
কোতোয়ালি থানার ডিউটি অফিসার এসআই বিপ্লব হোসেন জানান, তিন তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে তবিবরকে থানায় নেয়া হয়েছে। এই বিষয়ে পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবেন।