দু’দিনের টানা বৃষ্টিতে বেরির ভেতরের পানি খাল দিয়ে ঠিকমতো নিস্কাসন না হওয়ার কারনে চাঁদপুর সদর উপজেলার উত্তর ও দক্ষিন বালিয়া গ্রামে পানির নিচে তলিয়ে গেছে কৃষকের চাষকৃত ইরি ধান। তাই বাধ্য হয়েই পাম্প মেশিন লাগিয়ে পানি সেচে আধা পাকা ধান সংগ্রহ করছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা।
আর্শিবাদের বৃষ্টি যেনো ওইসব কৃষকদের জীবনে অভিশাপের বৃষ্টি হয়েই নেমেছিলো। তাই ভাগ্যকে মেনে নিয়ে লোকসান গুনেই পানির নিচ থেকে কাঁচা এবং পাকা ধান সংগ্রহ করার জন্য ধান গাছ কেটে উপরে তুলছেন কৃষকরা।
ওই এলাকার ভুক্তভোগী এমন একাধিক কৃষককের সাথে আলাপ করে জানা যায়, তারা যে টাকা খরচ করে এবার তাদের জমিতে ইরি ধান চাষ করেছেন, সে খরচের তিন ভাগের একভাগও তাদের আয় কিনা তা সন্দেহ আছে।
কারণ, তারা তাদের চাষকৃত সেই ধান পাকার আগেই বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কিছু কাঁচা এবং কিছু পাকা ধানসহ ধানগাছ কাটতে হয়েছে।
দক্ষিণ বালিয়া গ্রামের ৩ নং ওয়ার্ডস্থ কৃষক হেলাল গাজী চাঁদপুর টাইমসকে জানান, তিনি এবার তার ৩০ শতাংশ জমিতে ২২ হাজার টাকা খরচ করে ইরি ধান চাষ করেন। চাষকৃত সে জমির ধান কিছু পাকলেও বেশির ভাগ ধানই কাঁচা রয়ে গেছে। গত দু’দিনের টানা বৃষ্টিতে তার চাষকৃত সব ধান পানির নিচে তলিয়ে যায়। এজন্য তিনি দুইদিন ধরে পাম্প মেশিন লাগিয়ে পানি সেচে তারপর সে আধা পাকা ধান সংগ্রহ করছেন।
এছাড়াও উত্তর বালিয়া গ্রামের আব্বাস গাজী, কাদির গাজী, আলী আরশাদ রাঢ়ী, মাহাবুব তালুকদারসহ কয়েকজন কৃষক জানান, তারাও তাদের জমিতে যে টাকা খরচ করে এবার ইরি ধান রোপন করেছেন। বৃষ্টির পানির নিচে সে ধান ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় তাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। পানির নিচ থেকে যে ধান তারা সংগ্রহ করেছেন তাদের সে খরছের অর্ধেক টাকাও আসবে না।
তাদের অভিযোগ বেড়ির ভেতর বালিয়া খাল দিয়ে বৃষ্টির পানি ঠিকমতো নিস্কাশন না হওয়াতে তারা এমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তারা জানান প্রায় ২০/২৫ বছর আগে খালটি করার পর থেকে আজো কোন রকম সংস্কার করা হয়নি।
এ খালটি ঢালীর ঘাট হতে শুরু করে আইলার রাস্তা পর্যন্ত অবস্থান রয়েছে। খালের দু’পাশে যেমন গাছ গাছালি ও ময়লা আর্বজনা রয়েছে। তেমনি কিছু কিছু স্থানে কচুরি পনাও রয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ আজো খালটির কোন প্রকার যত্ন নেননি। আর খালটির কোন প্রকার যতœ না নেয়োর কারনে বৃষ্টির পানিও ঠিকমতো নিস্কাশন হয়নি। তাই যা হবার তাই হয়েছে।
প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৪: ০৭ এএম, ২৭ এপ্রিল ২০১৭, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ