চাঁদপুর পৌরসভা চলতি ২০১৮-২০১৮ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা কালে টানা এক ঘন্টা বক্তব্য রেখেছেন পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব নাছির উদ্দিন আহমেদ।
বুধবার (৪ জুন) বুধবার চাঁদপুর প্রেসক্লাবে বাজেট ঘোষনা অনুষ্ঠানে এই তিনি দীর্ঘসময়ের বক্তব্যের এই নজির স্থাপন করেন।
তিনি বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের সময় বক্তব্য শুরু করেন এবং ঠিক ৫টা ১০ মিনিটের সময় তার বক্তব্য শেষ করেন। দীর্ঘ সময়ের এই বক্তব্যে তিনি চাঁদপুর পৌরসভার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে চাঁদপুর পৌরসভাবে দেশের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা এনে দেয়া, নাগরীক সেবার মানোন্নয়ন, তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারে স্বচ্চতা ও জবাদদিহীতা নিশ্চিত করণ এবং আগামীতে পৌরসভাকে সিটি কর্পোরেশনে রূপান্তরসহ নানা বিষয় তুলে ধরেন।
পৌর মেয়র তার বক্তব্যের শুরুতেই বলেন, আমি চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র হিসেবে পূনরায় নির্বাচিত হয়ে ৪র্থ বছরে পর্দাপন করায় প্রথমেই মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি এবং পৌরবাসীর কাছে দোয়া কামনা করছি। পৃথীবির কঠিন কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মানুষের সেবা করা। আমরা রাজনীতি করি জনগণের সেবা ও দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য। আমাদের দল, মত, গোষ্ঠি ও বর্ণ ভিন্ন হতে পারে কিন্তু আমাদের লক্ষ্য হলো পৌরসভার সামগ্রিক উন্নয়ন ও পৌরবাসীকে সুষ্ঠ সেবা প্রদান করা।
পৌরবাসীর আন্তরিকতা এবং সার্বিক সহযোগীতায় আমরা ইতিমধ্যেই চাঁদপুর পৌরসভাকে বাংলাদেশের একটি আলোকিত ও মর্যাদাশীল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি। প্রায় ১২২ বছরের প্রাচীন চাঁদপুর পৌরসভাকে ৯-০০ বর্গ কিলোমিটার থেকে ২২ বর্গ কিলোমিটারের উন্নীত করেছি। পৌর এলাকা সম্প্রসারিত হওয়ায় এর জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে কাজের পরিধি এবং রাজস্ব আয় বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এজন্য পৌরসভাকে সিটি কর্পোরেশনে রূপান্তরিত করার প্রস্তাব রয়েছে।
চাঁদপুরবাসীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, পৌরসভার বিভিন্ন পর্যায়ের ট্যাক্স চাঁদপুর পৌরবাসী শতভাগ পরিশোধ করেন। বেশিরভাগ ট্যাক্স ৯০ থেকে শতভাগের মধ্যে আদায় হয়, যা দেশের অন্য পৌরসভার ক্ষেত্রে বিরল।
মেয়র নাছির উদ্দিন আরো বলেন, সরকার দেশের ৫টি পৌরসভাকে সিটিকর্পোরেশনে উন্নীত কারার চিন্তা করছেন। এর মধ্যে চাঁদপুর পৌরসভার উল্লেখ্যযোগ্য। কারণ আমাদের পৌরসভা সকল দিক থেকে ভালো অবস্থানে রয়েছে। পৌরসভার উন্নয়নে আমরা সকল শ্রেণীপেশার মানুষদের নিয়ে নগরসমন্বয়র কমিটি (টিএলসিসি) করেছি। প্রতি মাসে এই কমিটির একটি করে সভা হয়।
এই সভার মাধ্যমে সবার মতামত নিয়ে আমরা কর্মনির্ধারণ করি। যার ফলে চাঁদপুর পৌরসভায় এখন দুর্নীতি নাই বললেই চলে। চাঁদপুরের সকল রাস্তঘাটের উন্নয়ন ও সংস্কার করা হয়েছে। শহরে এখন কোনো জলাবদ্ধতা নেই। বেশি বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা দেখা দিলেও কিছু সময়ের মধ্যে তা শেষ হয়ে যায়।
নগরবাসীর শান্তি এবং নিরাপদ বসবাসই নিশ্চিত করাই হলো আমাদের প্রধান লক্ষ্য। তিনি তার বক্তব্যে আগামী দিনে চাঁদপুর পৌরসভার সকল উন্নয়নে নগরবাসীর সহযোগীতা কামনা করেন।
প্রতিবেদক- আশিক বিন রহিম