চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার বরদিয়া কাজী সুলতান আহম্মেদ উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার মান নিয়ে এলাকায় নানা ধরনের প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের পাঠদানে গাফিলতি এবং প্রাইভেট ও কোচিং বানিজ্যে মনোযোগী হওয়ায় অত্র বিদ্যালয়ে ছাত্র/ছাত্রীরা মান সম্মত শিক্ষা গ্রহন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে মনে করছেন অভিভাবকরা।
যার ফলে প্রতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় ফেলের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার মান সহ বিভিন্ন পরীক্ষার ফলাফল সম্পর্কে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় ১৭২ জন (নিয়মিত ও অনিয়মিত) এসএসসি পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৮১ জন ছাত্র/ছাত্রী ফরম ফিলাপ করার সুযোগ পেলেও ৯১ জন করতে পারেনি।
গত টেস্ট (নির্বাচনী) পরীক্ষায় ফেল করায় ৯১ জন ছাত্র/ছাত্রী ফরম ফিলাপ করতে পারছে না বলে বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়। এ নিয়ে ফরম ফিলাপ বঞ্চিত শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোপ ও উত্তেজনা দেখা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৪/৫ জন পরীক্ষার্থী জানায়, টেস্ট পরীক্ষায় ২/৩ বিষয়ে ফেল করা বেশ কয়েক জন ছাত্র/ছাত্রীদে পাশ দেখিয়ে ফরম ফিলাপ করেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। এ ছাড়া বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সাথে পরামর্শ ছাড়াই ২/১ জন সদস্যকে আতাত করে প্রধান শিক্ষক নিজের ইচ্ছে মত ফরম ফিলাপ কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলেও জানা যায়।
বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহাদাত হোসেন ফরম ফিলাপের বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে বলেন যারা টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে তাদের ফরম ফিলাপ করা সম্ভব নয়। তবে বিদ্যালয়ে শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এড়িয়ে যান।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মামুন চৌধুরী বুলবুল জানান, বিদ্যালয়ে ছাত্র/ছাত্রীদের ফরম ফিলাপের বিষয়টি প্রধান শিক্ষকই ভালো বলতে পারবেন। তবে সব বিষয়ে আমি অবগতি নই।
প্রতিবেদক- মাহফুজ মল্লিক
: আপডেট, বাংলাদেশ ১১ : ৪৩ পিএম, ১১ নভেম্বর, ২০১৭ শনিবার
ডিএইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur