আগামী মাসের যেকোনো সময় দেশের বেশ কয়েকটি জেলা সফর করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও ২০ দলীয় জোট নেত্রী খালেদা জিয়া। ওই সফরে জোট নেতাদের শরিক হতে বলেছেন তিনি।
একই সঙ্গে ডিসেম্বরের মধ্যে আইনজীবীদের একটি সমাবেশ করার পরামর্শ দিয়েছেন। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট নির্বাচনে বিএনপিপন্থী প্যানেলকে জয়ী করতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে বলেছেন। আসন্ন রংপুর সিটি নির্বাচনে ২০ দলীয় জোট অংশ নেবে বলেও বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গতকাল বুধবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়। সভায় জোটের শরিক দলগুলোর সবাই অংশ নিয়েছে। তবে লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিব একে অন্যকে বহিষ্কার করায় তাঁদের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
বৈঠকে অংশ নেওয়া জোটের শরিক ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মনি কালের কণ্ঠকে জানান, বৈঠকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো—নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য জনমত তৈরি করতে হবে। তাই খালেদা জিয়া আগামী ডিসেম্বরে সারা দেশ সফরের পরিকল্পনা করেছেন।
সাইফুদ্দিন মনি বলেন, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে ‘জোর করে’ সরিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে আইনজীবীদের একটি সমাবেশ করার পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপিপ্রধান। স্থান না পেলে এটি চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে করার পরামর্শ দেন তিনি।
জোটের আরেক নেতা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ডিসেম্বরে সম্ভব না হলে আগামী জানুয়ারি থেকে সারা দেশে সাংগঠনিক সফরে বের হবেন খালেদা জিয়া। ওই সফরে প্রতিটি সমাবেশ হবে ২০ দলীয় জোটের ব্যানারে। বর্তমান ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে তাঁরা নির্বাচনে যাবেন না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে খালেদা জিয়া বলেছেন, আগামী দিনে জোট ভাঙতে অনেক তৎপরতা চালানো হতে পারে। এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। ’
খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীসহ ১৭টি শরিক দলের নেতারা অংশ নেন। তাঁরা হলেন—খেলাফত মজলিশের মুহাম্মদ ইসহাক, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ, জামায়াতে ইসলামীর আবদুল হালিম, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, ইসলামী ঐক্যজোটের এম এ রকীব, জাগপার রেহানা প্রধান, এনডিপির খোন্দকার গোলাম মূর্তজা, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ ন্যাপের জেবেল রহমান গানি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, ইসলামিক পার্টির আবু তাহের চৌধুরী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, আবদুর রব ইউসুফী, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ ও ডেমোক্রেটিক লীগের সাইফুদ্দিন মনি। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তবে কল্যাণ পার্টি ও পিপলস লীগের প্রতিনিধি ছিলেন না।
জোটের শরিক লেবার পার্টিকে সংগঠনটির উপদলীয় কোন্দল বিভক্ত নেতৃত্বের কারণে কোনো অংশকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তবে লেবার পার্টির একাংশের নেতাদের বৈঠকের সময়ে গুলশান কার্যালয়ের বাইরে দেখা গেছে।
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ ০৭ : ৫৫ পিএম, ১৫ নভেম্বর, ২০১৭ বৃহস্পতিবার
এইউ