Home / উপজেলা সংবাদ / চাঁদপুর সদর / ১৩ দিনেও চাল না পেয়ে চান্দ্রা ইউনিয়নে জেলেদের বিক্ষোভ
জেলেদের

১৩ দিনেও চাল না পেয়ে চান্দ্রা ইউনিয়নে জেলেদের বিক্ষোভ

সরকারের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার ১৩ দিন অতিক্রম হলেও পরপর দুই দিন এসে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়েও চাল না পেয়ে বিক্ষোভ করেছে চাঁদপুর সদর উপজেলার ১২ নং চান্দ্রা ইউনিয়নের জেলেরা।

জানা যায়, চাঁদপুর সদর উপজেলার ১২ নং চান্দ্রা ইউনিয়নে প্রথমে ১৯ ও পরে ২০ অক্টোবর চাল দেওয়ার জন্য জেলেদের সময় দেওয়া হয়। সেই মোতাবেক জেলেরা চাল নেওয়ার জন্য সকাল থেকেই এসে লাইনে দাঁড়ায়। কিন্তু পর পর দুদিনই দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার পর তাদেরকে প্রায় দুপুরের সময় চলে যেতে বলা হয়। এতে প্রথম দিন ১৯ অক্টোবর জেলেরা স্বাভাবিক ভাবে চলে গেলেও পরের দিন তারা চাল দেওয়ার দাবি জানায়। এক পর্যায়ে তারা সেখানে কিছু সময় ইউপি চেয়ারম্যান খান জাহান আলী কালু পাটওয়ারীর সামনেই বিক্ষোভ করেন। গত দুই দিন ইউপি চেয়ারম্যান খান জাহান আলী কালু পাটওয়ারীর পরিষদের কক্ষে স্থানীয় আওয়ামী, যুবলীগ, মহিলা আওয়ামীগ, ইউপি সদস্য ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের উপস্থিতে ভাগভাটোয়ারার উদ্দেশ্যে বৈঠক হয়। বৈঠকে সমাধান না হওয়ায় গত দুদিন ধরে জেলেদের ঢেকে আনা হলেও চাল দেওয়া বন্ধ রয়েছে।

এসময় একাধিক জেলে অভিযোগ করে বলেন, আমাদেরকে বলেছে চাল দিবে। তাই আমরা সকাল ৭ টায় এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। এখন দুপুর হয়ে গেছে অথচ আমাদেরকে চলে যেতে বলে। কালকেও আমরা এসে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে ছিলাম। নদীতেও যাই না, চালও পাই না, কই যাইতাম। গরিবের দুঃখ কেউ দেখে না। আমাদের চাল আমাদের দিয়ে দিতে বলেন।

ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান , গতকাল রাতে ছাত্রলীগ, যুবলীগ দাবী করেছে তাদেরকে কার্ড প্রতি ১ কেজি করে চাল দিতে হবে।

তবে অপর এক ছাত্রলীগ নেতা জানান, আমাদের একটাই দাবী জেলেদের চাল ২৫ কেজি তাদেরকে ২৫ কেজিই দিতে হবে।
ট্যাগ অফিসার তাপস চন্দ্র দাস বলেন, আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে জানিয়েছি।

তবে এই বিষয়ে বক্তব্য দিতে রাজী হননি ইউপি চেয়ারম্যান খান জাহান আলী কালু পাটওয়ারী। তিনি বলেন, বুঝেনইতো সবকিছু প্রকাশ্যে বলা যায় না। আমি চাঁদপুর যাচ্ছি। পরে দেখি জানাবো।

এদিকে এই বিষয়ে বক্তব্যে নেওয়ার জন্য চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ভারপ্রাপ্ত) হেলাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সরকার নির্ধারণ করে দিয়ে কি পরিমান চাল জেলেদের দিতে হবে। কারো সাথে সমন্বয় করার জন্য সরকার চাল দেয় নি। আমি বিষয়টি দেখতেছি।

এ বিষয়ে জেলা মৎস কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, আমি বিষয়টি এইমাত্র জানলাম। দেখি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিবো।

সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেট, ২০ অক্টোবর ২০২২