জুমাতুল বিদায় মতলব উত্তরে মুসল্লিদের ঢল

মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমীনের দরবারে পানাহ ও রহমত কামনা করে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা ও ছেংগারচর পৌরসভায় পবিত্র জামাতুল বিদা পালিত হয়েছে। পবিত্র জুমাতুল বিদা।

আজ রমজান মাসের শেষ শুক্রবার। মুসলিম উম্মাহর কাছে এটি একটি পবিত্র দিন। তাইতো চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মসজিদ গুলোয় ছিল মুসল্লিদের উপচেপড়া ভীড়। আজানের পর থেকেই মসজিদ গুলোর দিকে মুসল্লিরা যেতে থাকেন। অল্প সময় মসজিদের ভেতর ভরে যায়। সব মসজিদে ছিল ঠাই নেই অবস্থা। মসজিদ আঙ্গিনার বাইরে বাড়তি জায়নামাজের ব্যবস্থা করতে হয়। মসজিদ ছাড়িয়ে পার্শ্ববর্তী রাস্তায় গড়ায় জামাত।

মতলব উত্তর উপজেলার থানা মসজিদ,ছেংগারচর বাজার কেন্দ্রীয় শাহী জামে মসজিদ,ছেংগারচর দর্জি বাজার কেন্দ্রীয় শাহী জামে মসজিদ, ইমাম ময়দান নূরীয়া মাদ্রাসা,উত্তর ঠাকুরচর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ,ফরাজীকান্দি ওয়েসীয়া দরবার শরীফ জামে মসজিদ, সাড়ে পাঁচআনী হোসাইনীয়া সিনিয়র মাদ্রাসাসহ সব মসজিদ ছিল মুসল্লীতে ভরা।

অতিরিক্তি জায়নামাজ ও সামিয়ানা টানিয়ে নামাজের ব্যবস্থা করতে হয়। ছেংগারচর বাজার সংলঘ্ন মতলব উত্তর থানা মসজিদের বাইরে প্যান্ডেল টানানো হয়। অসহনীয় গরম সহ্য করেই মুসল্লিরা নামাজে শরীক হন। নামাজের শেষে প্রচন্ড তাপদাহে আল্লাহর রহমত কামনা করা হয়। বেশীরভাগ মসজিদেই আজানের আগেই বিপুল সংখ্যক মুসুল্লী প্রবেশ করে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, নফল নামাজ আদায় ও জিকিরে মগ্ন ছিলেন।

খোৎবা পূর্ব বয়ানে খতিব ছাহেবগন রোজা, নামাজ, জাকাত ও ফেতরার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে এসব আদায়ে দায়িত্ব ও কর্তব্যের কথাও স্মরন করিয়ে দেন। এখানে পবিত্র জামাতুল বিদার নামাজ আদায় করেন মতলব উত্তর থানার ওসি মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল,ওসি তদন্ত মোঃ মাসুদ,মসজিদ কমিটির উপদেষ্টা বিশিষ্ট সমাজ সেবক আল মাহমুদ টিটু মোল্লা,সিনিয়র সাংবাদিক কামাল হোসেন খান, মসজিদ কমিটির শাহআলম প্রধানসহ শত শত মুসল্লীরা। নামাজ শেষে মতলব নউত্তরসহ গোটা দেশ ও জাতির সুখ, সমৃদ্ধি, কল্যাণ ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শান্তি এবং কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এখানে খুতবা, বয়ান ও মোনাজাত পরিচালনা করেনথানা মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা মোঃ নেওয়াজ শরীফ।

রমজানের শেষ জুমা হিসাবে মুসলিম উম্মাহর কাছে দিনটির বিশেষ গুরুত্ব ও তাৎপর্য রয়েছে। জুমার দিনের স্বতন্ত্র ফজিলত অনেক বেশি। রমজানের প্রতিটি জুমা ফজিলত ও তাৎপর্যের দিক থেকে অনন্য। রমজান ও রোজার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল মানুষের মাঝে তাকওয়া বা খোদাভীতি যোগ্যতা অর্জন করানো। গরমের মধ্যেই নামাজ শেষে কবরস্থান গুলোয় ভীড় করেন জিয়ারতকারীরা।

নিজস্ব প্রতিবেদক, ২৯ এপ্রিল ২০২২

Share