জিপিএ-৫ উন্মাদনা শিশুদের জীবন বিষিয়ে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ জন্য জিপিএ-৫ উঠিয়ে দিয়ে আগামী বছর থেকে পরীক্ষার ফল সর্বোচ্চ ৪ সূচক (সিজিপিএ) করার পরিকল্পনা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
৩১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে জেডিসির ফল তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জিপিএ-৫ এর উন্মাদনা প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এই উন্মাদনা শিশুদের জীবনকে একেবারে নিরানন্দময় করার সঙ্গে বিষিয়েও দিচ্ছে। কিন্তু জিপিএ-৫ জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হতে পারে না। এটি মাথা থেকে বের করে দেয়া উচিত।
তিনি বলেন, আমরা যত জিপিএ-৫ নিয়ে কম কথা বলব, তত আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য ভালো, শিক্ষাব্যবস্থার জন্য ভালো। এই যে জিপিএ-৫ এর উন্মাদনা শিশুদের পুরো শিক্ষাজীবনকেই একেবারে বিষিয়ে দিচ্ছে।
শিশুদের ওপর পড়ালেখার চাপ দিন দিন বাড়বে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিশুদের ওপর পড়ালেখার চাপটা অনেক বেশি, আমরা সেটি কমিয়ে আনন্দময় করার প্রয়াস নিচ্ছি। ‘শিশুদের ওপর যে অবিশ্বাস্য রকমের চাপ। পরিবারের দিক থেকে বন্ধুবান্ধবের দিক থেকে জিপিএ-৫ পাওয়ার যে চাপ– এটি বন্ধ করতে হবে। জিপিএ-৫ জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হতে পারে না।’
তিনি বলেন, জিপিএ-৫ জিনিসিটা আসলে মাথা বের করে দেয়া উচিত। আমাদের শিক্ষার্থীরা শিখছে কিনা, আনন্দের সঙ্গে শিখছে কিনা, সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে সহযোগিতা করতে পারছি কিনা তা লক্ষ্য করা উচিত।
শিক্ষায় নতুন নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীও কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। সামনের বছর চালু করে দিতে পারলে খুবই ভালো হবে। আমরা বলেছিলাম এ বছর করতে পারি কিনা। এ বছর করতে পারলে অনেক বেশি তাড়াহুড়া হয়ে যাবে। তাড়াহুড়া করে পরিবর্তন করা সমীচীন হবে না। আমরা হয়তো আগামী বছর থেকে শুরু করব। ২০২০ সালে জিপিএ ৫ তুলে দেয়া হবে আশা করছি।