আন্তর্জাতিক

জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু পুলিশের হাঁটু চাপায় শ্বাসকষ্টে হয়েছে

পুলিশের নির্যাতনের শিকার হওয়া আফ্রিকান–আমেরিকান ফ্লয়েডের মৃত্যু শ্বাসকষ্টেই হয়েছে।একটি বেসরকারি সংস্থার ময়নাতদন্তে এমন ফলাফলের কথা জানানো হয়। সোমবার রাতে বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য দেওয়া হয়।

আমেরিকার মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যে জর্জ ফ্লয়েড (৪৬) নামের আফ্রিকান-আমেরিকান এক ব্যক্তিকে ২৫ মে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে নির্যতন করেন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার ডেরেক চাওভিন। এতে সাবেক বাস্কেটবল খেলোয়াড় জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়।

ফ্লয়েডের পরিবারের নিয়োগ করা বেসরকারি সংস্থার ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায় ফ্লয়েডের মৃত্যু শ্বাসকষ্টেই হয়েছে।

পরিবারের নিয়োগ দেওয়া ওই প্রতিষ্ঠানের ডাক্তারি প্রতিবেদনে বলা হয়, ফ্লয়েডের মৃত্যু গলা ও ঘাঁড়ে চাপ প্রয়োগে শ্বাস বন্ধ হওয়ার কারণেই হয়েছে।

এ দিকে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু পরবর্তী বিক্ষোভে উত্তাল পুরো আমেরিকা। বর্ণবাদবিরোধী ক্ষুব্ধ মানুষের উত্তাল আন্দোলন থামছে না। পরিস্থিতি সামাল দিতে আমেরিকার অন্তত ৪০টির বেশি নগরীতে কারফিউ জারি করতে হয়েছে।

বিক্ষোভ দমনে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। গত ২৯ মে রাতে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে আন্দোলন সহিংস হয়ে ওঠে। হোয়াইট হাউসের উত্তর গেট থেকে বোতল ও ইটপাটকেল ছোড়ার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ছিলেন।

রাতে সিক্রেট সার্ভিসের কর্মীরা তাঁকে হোয়াইট হাউসের নিচে থাকা বাঙ্কারে নিয়ে যান। ওই দিন পুরো রাত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ওই বাঙ্কারেই কাটিয়েছেন।

করোনার সংক্রমণে বিপর্যস্ত আমেরিকায় সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বেশি বেকারত্ব চলছে। নগরী ও রাজ্যগুলো থেকে লকডাউন শিথিল করার সময়ে এমন বিক্ষোভ দ্রুতই উত্তাল হয়ে উঠেছে। চলমান এই আন্দোলন মাসব্যাপী চলবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

বার্তা কক্ষ, ২ জুন ২০২০

Share