Home / উপজেলা সংবাদ / মতলব উত্তর / ছেংগারচরে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে টিসিবি পণ্য বিক্রি বিতরণ
ফ্যামিলি

ছেংগারচরে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে টিসিবি পণ্য বিক্রি বিতরণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে সারা দেশেন ন্যায় চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভায় শুরু হয়েছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রি কার্যক্রম।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) সকালে ছেংগারচর পৌরসভার মায়া বীর বিক্রম অডিটোরিয়ামে ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে ১১শ’জনকে এবং পৌরসভার নবাবনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৭, ৮নং ও ৯নং ওয়ার্ডে ১৩শ’৩৬ জন ফ্যামিলি কার্ডধারীদের মধ্যে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রি কার্যক্রম বিতরণ করা হয়। এসময় ছেংগারচর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডেও পৌর সহায়ক মোঃ মফিজুল শিকদার মাহফুজ, ৭নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক ইমতিয়াজ,মেসার্স শাহরিয়ার এন্টারপ্রাইজ টিসিবি ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবির) ডিলার শাহিন মিয়াসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল, এক কেজি চিনি, এক কেজি ছোলা কিনতে পারবেন।

টিসিবির ডিলার শাহিন মিয়া জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে আমাদের শাহরিয়ার এন্টারপ্রাই টিসিবি’র আওতায় ছেংগারচর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ৩ হাজার ৩শ’৩৬জনকে ফ্যামিলি কার্ড প্রদান করে টিসিবি মুল্য ৪৭০ টাকার একটি প্যাকেজে ২ লিটার সয়াবিন তৈল, ২ কেজি মসুর ডাল, ১ কেজি চিনি ও ১ কেজি ছোলা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্নভাবে প্রদান করা হচ্ছে।

তারই ধারাবাহিকতায় আজ শুক্রবার ছেংগারচর পৌরসভার ৪,৫,৬ ওয়ার্ডে ১১শ’৬৯ জনকে ও ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডে ১৩শ’৩৬জন ফ্যামিলি কার্ড প্রদান করে টিসিবি মুল্য ৪৭০ টাকার একটি প্যাকেজে ২ লিটার সয়াবিন, ২ কেজি মসুর ডাল, ১ কেজি চিনি ১ কেজি ছোলা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্নভাবে প্রদান করা হয়েছে।

ছেংগারচর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের ঠাকুরচর গ্রামের ষাটোর্ধ্ব আব্দুল খালেক মুফতি ও মাজেদা বেগম, বলেন রোজার মধ্যে কমদামে এসব পণ্য কিনতে পেরে ভিশন উপকার হয়েছে। সারা বছরই যদি সরকার তাদের মতো পরিবারগুলোর জন্য এভাবে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করে তাহলে তারা খেয়ে পড়ে বাঁচতে পারবেন। তারা এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি এ ধরনের উদ্যোগ চালু রাখা গেলে তারা আরো উপকৃত হবেন বলেও তারা জানান।

প্রতিবেদক: খান মোহাম্মদ কামাল, ৩১ মার্চ ২০২৩