চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এক অসহায় রোগীর কাছ থেকে ৪ হাজার টাকা নেয়ার পর দালাল হাবিবকে মুছলেকায় ছেড়ে দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) হাসপাতালের লোকজন তাকে আটক করেন।
জানা যায়, চাঁদপুর সদর উপজেলার ৯ নং বালিয়া ইউনিয়নের মধ্য বালিয়া গ্রামের আঃ গফুর শেখের ছেলে মোঃ হাবিবুর রহমান শেখ দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তিকৃত বিভিন্ন রোগীদের সাথে ভুলিয়ে বালিয়ে,তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করবেন বলে রোগীদের কাছ থেকে বিভিন্ন অংকের টাকা নিয়ে থাকেন। তার কাছে বহু রোগী প্রতারনার শিকার হয়েছেন বলেও জানা গেছে।
হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার (অর্থ ও সার্জারি) ডাক্তার মোঃ ফরিদ আহমেদ চৌধুরী জানান, গত জুলাই মাসে হাতের সমস্যা জনিত কারনে চাঁদপুর সদর হাসপাতালের ২য় তলার অর্থ বিভাগে একজন অসহায় রোগী ভর্তি হন।
রোগীটি দিন মজুর এবং শ্রমিক হওয়াতে ডাক্তার ফরিদ আহমেদ রোগীটির চিকিৎসার সহযোগিতার জন্য হাসপাতালের সমাজ সেবা বিভাগ থেকে তার ঔষধ কেনার ব্যবস্থা করে দেন। কিন্তু এদিকে ভদ্র বেশি দালাল হাবিবুর রহমান ওই রোগীকে ভুলবাল বুঝিয়ে সে তাকে সমাজ সেবা থেকে সহযোগিতা পাইয়ে দিবে বলে রোগীর কাছ থেকে নগদ ৪ হাজার টাকা নেন।
কয়েকদিন পরে ডাক্তার ফরিদ আহমেদ রোগীর কাছে জানতে পারেন,সমাজ সেবার কথা বলে দালাল হাবিবুর রহমান ওই রোগীর কাছে মিথ্যে কথা বলে ৪ হাজার টাকা নিয়েছেন। তারপর থেকে হাবিবুর রহমানকে ধরার জন্য হাসপাতালের লোকজন পাহাড়ায় ছিলেন।
সবশেষে ১৭ ডিসেম্বর মানুষের কাছে নিজেকে চেয়ারম্যান পরিচয় দানকারী ভদ্রবেশি দালাল হাবিবকে হাসপাতালের লোকজন আটক করে ডাক্তার ফরিদ আহমেদ চৌধুরী এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে নিয়ে যায়।
পরে সে আর কখনো হাসপাতালের আশেপাশে কিংবা কোন রোগীর সাথে কোন প্রকার আর্থিক লেনদেন করবেনা বলার শর্তে মুছলেকা দিয়ে সেখান থেকে কেটে পড়েন।
হাসপাতাল এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, দালাল হাবিবুর রহমান, বিভিন্ন জনের কাছে নিজেকে বালিয়ার চেয়ারম্যান পরিচয় দিয়ে বেড়ান। আর এ পরিচয়কে কাজে লাগিয়ে সে মানুষের উপকার করার ছলে দালালি করে বিভিন্ন অংকের টাকা হাতিয়ে নেন।
এ ব্যাপারে দালাল হাবিবুর রহমান টাকার বিষয়ে অস্বীকার করে বলেন, আমি রোগীর কাজের জন্যই টাকা নিয়েছি। আর সেই টাকা তার পেছনে খরচ করেছি।
প্রতিবেদক:কবির হোসেন মিজি
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur