Home / উপজেলা সংবাদ / চাঁদপুর সদর / চান্দ্রায় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যার চেষ্টা
gholay fash

চান্দ্রায় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যার চেষ্টা

চাঁদপুর সদর উপজেলার ১২ নং চান্দ্রা ইউনিয়নে সম্পত্তিগত বিরোধের জের ধরে রাতের আঁধারে হাবিবুল্লা (১৪) নামে এক মাদরাসা ছাত্রকে মুখোশ পড়িয়ে জোরপূবর্ক গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় ওই ইউনিয়নের দক্ষিন বালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহত হাবিবুল্লাহ ওই গ্রামের খন্দকার বাড়ির হাফেজ নেয়ামত উল্ল্যাহ খন্দকারের ছেলে। বর্তমানে সে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের ২য় তলায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।

আহত ছাত্র ও তার পরিবারের লোকজন জানায়, ৯ মার্চ শুক্রবার সন্ধ্যার পরে হাবিবুল্লাহ বাড়ি থেকে দোকানে যাওয়ার সময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে পেছন থেকে তার চোখে মুখে কাপড় বেঁধে তাকে নির্জন স্থানে নিয়ে অনেক মারধর এবং গলায় রশি লাগিয়ে তাকে এ হত্যার চেষ্টা চালানো হয়।

তারা আরো জানায়, একই গ্রামের মুনসুর পাটওয়ারীর, শহিদুল্লাহ খন্দকারের ছেলে মিজান খন্দকার, মৃত আসলাম খন্দকারের স্ত্রী হাফছা বেগম, জামাতা আব্দুল মান্নান শেখ, মেয়ে জাকিয়া বেগম, তার মেয়ে তানিয়া ও সোনিয়া গংদের সাথে তাদের বাড়ির একটি সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।

ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন পূর্বে মুনসুর পাটওয়ারী,ও তার লোকজন আহত ছাত্রের মাতা রোকেয়া বেগমকেও মারধর করেন। তাদের অভিযোগ তারই সূত্র ধরে ঘটনার দিন মুনসুর পাটওয়ারী ও তার লোকজন পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে রাতের আঁধারে হাবিবুল্লাহ দোকানে যাওয়ার সময় তাকে পেছন থেকে মুখে কাপড় বেঁধে এবং গলায় রশি লাগিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এসময় হাবিবুল্লাহর ডাক চিৎকারে তার মা রোকেয়া বেগম ছুটে গেলে তারা তাকেও মারধর করে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এনে ভর্তি করায়।

এ ব্যাপারে চান্দ্রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খান জাহান আলী কালু পাটওয়ারীর সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, আমি এমন হত্যার চেষ্টার ঘটনার কথা শুনেছি। তবে যাদের বিরুদ্ধে এ হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে, তাদের সাথে ওই ছাত্রের পরিবারদের দীর্ঘদিনের সম্পত্তিগত বিরোধ চলে আসছে। এর কিছুদিন পূর্বেও মুনসুর পাটওয়ারী ছাত্রের মাতাকে ও মারধর করেছে বলে আমি জানি।

এ ব্যাপারে মুনসুর পাটওয়ারীর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে পাওয়া যায়নি।

প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি