হাজীগঞ্জে পাওনা টাকা চাওয়ায় হামলা ও চাঁদা দাবির অভিযোগ

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে গন্ধর্ব্যপুরে পাওনা টাকা চাওয়া স-মিল ব্যবসায়ীর উপর হামলা ও চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ব্যবসায়ী স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে অবহিত করে থানায় লিখিত অভিযোগের পক্রিয়া নিচ্ছেন।

ঘটনাটি ২০ আগস্ট শুক্রবার গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের গন্ধর্ব্যপুর বাজারে ঘটে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গন্ধর্ব্যপুর বাজারে স-মিল ব্যবসায়ী মৃত আ.রহমানের ছেলে আ.কাদের গন্ধর্ব্যপুর চর বাড়ি কলি মিয়ার ছেলে হিরন (বোঝা) এর কাছ থেকে প্রায় এক হাজার টাকা পায়। টাকা চাইতে গেলে হিরন কোন কর্ণপাত করছে না।

ঘটনার দিন শুক্রবার হিরন ইচ্ছাকৃত ভাবে আ.কাদেরের স-মিলের মিশিনের পাশে বসে প্রস্রাব করতে বসে। এসময় স-মিলের মালিকের ছেলে আরব গণি প্রস্রাব করা অবস্থায় হিরনকে দেখে ডাক দিলে সে দাড়িয়ে গরম হয়ে যায়।

এক পর্যায়ে বলে উঠে তোরা যে এখানে ব্যবসা করিস কাকে কর দিস। এখন থেকে ব্যবসা করতে হলে বাপ ছেলে চাঁদা দিতে হবে। আপনাদের কেন চাঁদা দিব এ কথা বলার সাথে সাথে হিরন ও তার বড় ভাই ইদ্রিছ মিলে ব্যবসায়ীর ছেলে আরব গণির ঘাড় ধরে কিল ঘুষি মারতে থাকে। ডাক চিৎকারে শুনে মানুষ এসে তাদেরকে রক্ষা করে।

খবর পেয়ে স-মিল ব্যবসায়ী আ.কাদের ঘটনাস্থল আসলে তাকে উদ্দেশ্য করে তারা বলেন আপনি যে পাওনা টাকা চান, এতো সাহস পেলেন কই। আপনি আজ থেকে চাঁদা দিতে হবে, তা না হলে এ বাজারে ব্যবসা করা যাবে না বলে প্রকাশ্যে হুমকি দেন তারা।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আক্তার হোসেন বলেন, আমার দোকানের কাছ থেকে দেখেছি তারা দুই ভাই ব্যবসায়ীর ছেলের সাথে হাতাহাতি করছে। ডাক দেওয়ার পরে তারা মুখে উচ্চ স্বরে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কথা চালিয়ে যায়।

হাতাহাতির ঘটনার সময় পাশ্ববর্তী দোকান্দার অনিল, হৃদয়, হারুন বলেন, আমরা বিষয়টি দেখে এগিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেছি।

স-মিল ব্যবসায়ী আ.কাদের বলেন, গত প্রায় এক বছর ধরে এক হাজার টাকা আটকে রেখেছে হিরন। পাওনা টাকা না দিয়ে পরিকল্পিত ভাবে আমার স- মিলে গিয়ে বেকুবের মত প্রশাব করতে বসেছে। আমার ছেলে ডাক দেওয়ায় তাকে মারধর করেছে এবং প্রকাশ্যে হুমকি দেয় চাঁদা না দিলে ব্যবসা করতে দিবে না। এ বিষয়ে আমি থানায় অভিযোগ করবো।

প্রতিপক্ষ হিরনের বড় ভাই ইদ্রিস বলেন, ছোট ভাই হিরনের কাছে কিসের টাকা পায় তা আমার জানা নাই। হট্রোগল শুনে সেই দিন ঘটনাস্থল গিয়েছি।

গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, মোবাইলে বিষয়টি জানিয়েছে, লিখিত ভাবে অভিযোগ পেলে সমাধানের চেষ্টা করবো।

নিজস্ব প্রতিবেদক

Share