চাঁদপুর – হাইমচর সড়কের চান্দ্রা বাখরপুর এলাকায় মামুন ছৈয়াল নামের এক ব্যাক্তি বিভিন্ন নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে অবৈধ ভাবে ওয়াপদার জায়গা দখল করে পল্লী বিদ্যুৎতের খুঁটিসহ পাকা ভবন ও দোকান নির্মান করছেন। সরকারি ভ’মিকা কোন পাকা ভবন কিংবা বাড়ি ঘর তৈরির নিয়ম না থাকলেও মামুন ছৈয়াল বাংলাদেশ পুলিশের আইজি সহ বিভিন্ন নেতা কর্মীসহ প্রভাব শালীদের নাম বিক্রি করে নিজের খাম খেয়ালি মতো সিআইপি বেরিবাঁধের জমি দখল করে পাকা ভবন তৈরির কাজ করে চলেছেন।
সরজমিনে দেখা যায় ওই সড়কের বাংলা বাজার, চান্দ্রা চৌরাস্তা, বাখরপুর, হরিনা চৌরাস্তাা, জব্বর ঢালীর দোকানসহ সড়কের বিভিন্নস্থানে একের পর এক গড়ে উঠছে অবৈধ স্থাপনা।
এতে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন গুরত্ব না থাকায় ওই সকল এলাকার কিছু প্রভাবশালী লোক প্রশানকে তোয়াক্কা না করে তারা তাদের খাম খেয়ালী মতো ওয়াপদা রাস্তার পাশে একের পর এক পাকা ভবন ও দোকানপাট নির্মান করছেন।
গত কয়েক মাস ধরে চাঁদপুর হাইমচর ওয়াপদা রাস্তার পাশে কতিপয় ব্যাক্তিরা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে কোন কিছু না জানিয়ে কিংবা কোন অনুমতি না নিয়েই খুব মজবুত করে রড সিমেন্ট দিয়ে পাকা দোকান পাট উত্তোলন করছেন।
গত রবিবার চাঁদপুর হাইমচর ওয়াপদা রাস্তার ১২ নং চান্দ্রা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডস্থ বাখরপুর দুলাল খার দোকান নামকস্থানে দীঘির পাড় মোড়ে সরজমিনে গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়।
এ বিষয়ে মামুন ছৈয়ালের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিভিন্ন ইউপি সদস্য সহ পুলিশ কর্মতার নাম বলে নিজের ক্ষমতা জাহির করতে থাকেন। তিনি বলেন, আমি সেনা বাহিনীতে চাকরি করেছি,পুলিশের আইজি জাবেদ পাটওয়ারীর কাজ করিেছ। এখনো বর্তমানে চাঁদপুরে অনেক নেতা কর্মীর কাজ করছি। এসব বলার এক পর্য়ায় তিনি বলেন আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন অনুমতি নেইনি। অনুমতি ছাড়াই আমি এটি নির্মাণ করছি। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক স্যার বলেছে আমাকে ব্যবস্থা করে দিবে। এছাড়া তিনি ওই কর্মকতার নাম প্রকাশ করতে রাজি হয়নি।
এছাড়াও চাঁদপুর-হাইমচর সড়কের হরিনা, চান্দ্রা, জব্বর ঢালীর দোকান, বাংলা বাজার সহ হাইমচর পর্যন্ত বিভিন্নস্থানে কিছু অসাধু ব্যাক্তিরা ওয়াপদার জায়গা দখল করে মার্কেট, দোকান পাট ও থাকার জন্য ভবন নির্মান করতে দেখা গেছে। এসব যেনো দেখার কেউ নেই।
প্রতিবেদক : কবির হোসেন মিজি, ৬ এপ্রিল ২০২০