Home / চাঁদপুর / চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চলছে বিনামূল্যে এইচআইভি পরীক্ষা
সরকারি

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চলছে বিনামূল্যে এইচআইভি পরীক্ষা

আড়াই’শ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে গত দুই বছর ধরে চলছে বিনামূল্যে এইচ আই ভি রক্ত পরীক্ষা। সদর হাসপাতালে থাকা এই এইচ টিসি, এআরটি সেন্টার থেকে এ পর্যন্ত অনেকেই বিনামূল্য এই সেবা গ্রহণ করেছেন। এইচ আইভি রক্ত পরীক্ষা করে অনেক রোগীই সনাক্ত হয়েছেন এবং চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। প্রতিদিন গড়ে ৭ থেকে ৮ জন ব্যক্তি হাসপাতালের এই সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে গিয়ে এইচ আইভি রক্ত পরীক্ষা করছেন।

জানা যায়, ২০২০ সালে একযোগে দেশের ২৩ টি জেলা সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে এইচটিসি এআরটি সেন্টার চালু করে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আর চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এই সেবা মুলক সেন্টারটি চালু করা হয় ২০২০ সালের মার্চ মাসে। তারপর থেকেই এখানে রোগীদেরকে বিনামূল্যে এই সেবা সেবা প্রধান করা হয়ে থাকে। প্রতিদিন এই সেবা সেন্টারে আট থেকে দশজন সেবী প্রার্থীরা এই সেবা গ্রহন করে থাকেন। প্রতিদিন যেসব ব্যক্তিরা রোগ নির্ণয়ের জন্য এইচআইভি পরীক্ষা করাতে আসেন। তাদের মুখের লালা এবং রক্ত পরীক্ষা করে দশ মিনিটের মধ্যেই তার রিপোর্ট প্রদান করা হয় বলে জানান দায়িত্বরতরা।

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের নিচতলায় থাকা এইচ টিসি এআরটি সেন্টারে মোট ৩ জন ব্যক্তি এটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন। এরমধ্যে সেবা সেন্টারের ফোকাল পার্সন হিসেবে রয়েছেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার সুজাউদ্দৌলা রুবেল, কাউন্সিলর কাম এড মিনিস্টেটর মোঃ হাবিবুল হক আখন্দ ও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট সলেমান হোসেন।

তারা জানান, বাংলাদেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ এই বিনামূল্যের সেবা সেন্টারটি ২০২০ সালে মার্চ মাস থেকে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে এটি চালু করা হয়। এ পর্যন্ত এখানে সর্বমোট ২৯ ৮৭ জন ব্যক্তির রক্ত পরীক্ষা করা হয়। তারমধ্যে পজিটিভ রোগের সংখ্যা ৬ জন এবং নেগেটিভ ২৯৮১ জন।

তাদের আহ্বান বিদেশগামীরা যাতে বিদেশে যাওয়ার পূর্বে এই সেবা কেন্দ্রে এসে এইচ আইভি পরীক্ষা করেন। বিশেষ করে মাদকাসক্ত, যৌনকর্মীরাও যাতে হাসপাতালে এসে এই সেবাটা গ্রহণ করেন এমনটাই আহ্বান তাদের।

প্রসঙ্গত, যে জীবাণুর মাধামে এইডস হয় তাকে এইচ আই ভি বলা হয়। এইচ আই ভি (HIV) হলো, হিউম্যান ইমুনো ডিফিসিএনসি ভাইরাস। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে রোগীর দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।

প্রতিবেদক: কবির হোসেন মিজি, ২৩ নভেম্বর ২০২২