চাঁদপুর সরকারি শিশু পরিবারের বনভোজন,বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অনুষ্ঠান হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো.আব্দুস সবুর মন্ডল।
এ সময় তিনি বলেন,‘যারা এখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেছে তাদের নৃত্য দেখে খুব অবাক হলাম। তাদের কারো প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা নেই। এদের কেউ কেউ ধনী পরিবারের সন্তান হতে পারতো কিন্তু নিয়তির কারণে তারা আজ এতিম হয়ে এখানে আশ্রয় নিয়েছেন। যারা এখানে আছেন তাদের ৫-৬ জনকে যদি চাকরির ব্যবস্থা করতে পারতাম তাহলে নিজের কাছে আত্মতৃপ্তি লাগতো। এ সমাজে অনেক ধনী লোক এবং সরকারি চাকরিজীবী আছেন। আমরা যদি তাদের চাকরির ক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই।তাহলে তারা অনেক ওপরে উঠতে পারবে। আমরা সবাই তাদের চাকরির জন্য সহযোগিতা করবো।’
তিনি শিশু পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন,‘তোমরা যারা এখানে পড়া লেখা করছো।তোমরা সকলে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে। তোমরা সে রকম পড়ালেখা করবে, যে পড়ালেখা করে সুশিক্ষায় সুক্ষিায় শিক্ষিত হয়ে চাকরির মাধ্যমে দেশের জন্য কাজ করবে। তোমরা যখন বড় হবে তখন আর চিন্তা করতে হবেনা। ভালো পড়ালেখার মাধ্যমে তখন নিজেরাই নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারবে। তোমরা বড় হও । সুখি হও এবং পড়ালেখা করে দেশের জন্য কাজ করার সুযোগ পাও এটাই প্রত্যাশা করি।’
সকালে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওচমান গনি পাটওয়ারী।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মঈনুল হাসান,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো.মাসুদ হোসেন,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শওকত ওচমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আয়েশা আক্তার, সদর নির্বাহী কর্মকর্তা কনিজ ফাতেমা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম দুলাল পাটওয়ারী,জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তাফা বাবু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সরকারি শিশু পরিবারের সহকারী পরিচালক রাশেদুজ্জামান চৌধুরী। পরিচালনায় ছিলেন সমাজসেবা কার্যালয়ের পৌর সমাজকর্মী মো.কামরুজ্জামান।
প্রতিবেদক:কবির হোসেন মিজি
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৫:১০ পিএম ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
এজি