পবিত্র ঈদুল আজহা শেষে কর্মমুখী মানুষের ঢল নেমেছে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে। লঞ্চে মানুষের ভিড় প্রচন্ড। এ অবস্থায় লঞ্চে ও লঞ্চঘাটে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না।
যাত্রীদের ভিড়ে লঞ্চগুলোতে জীবাণুনাশক স্প্রে থাকলেও যাত্রীদের জীবাণুমুক্ত করে লঞ্চে প্রবেশ করাতে পারছে না লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। যাত্রীরা কে কার আগে লঞ্চে প্রবেশ করবে তা নিয়ে হুড়োহুড়ি করছে।
পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, করোনাভাইরাসটি যেনো উধাও হয়ে গেছে! ঘাটে আগত অধিকাংশ যাত্রীর মুখে দেখা যায়নি মাক্স।
অপরদিকে লঞ্চগুলোতে সোমবার ঈদের তৃতীয় দিনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা থাকলেও যাত্রী সাধারণের চাপে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যেও তা মানানো যাচ্ছে না। ছিল না অনেক যাত্রীর মাঝে সামাজিক দূরত্ব মানার প্রবণতা।
যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য চাঁদপুর লঞ্চঘাটে বিআইডাব্লিটিএ, জেলা পুলিশ, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড ও বন্দর সমন্বয় কমিটি আনসার এবং স্কাউটের সদস্যরা নিয়োজিত থাকলেও যাত্রীদের চাপে সামলাতে তারা ছিল অনেকটা অসহায়।
সোমবার চাঁদপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে মোট ১৩টি লঞ্চ। প্রতিটি লঞ্চই ধারনক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ও স্বাস্থ্যবিধি নামে ঘাট ত্যাগ করে। যাত্রীদের চাপ সামলাতে হিমসিম খায় আইনর্শ্খংলাবাহিনি। ঘাটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকলেও তারাও নিরুপায়।
চাঁদপুর লঞ্চঘাটে আগত বোগদাদিয়া-৭ লঞ্চটি ধারণক্ষমতার অতিরিক্তি যাত্রী নিয়ে নোঙ্গর করে। লঞ্চের ছাদেও যাত্রীদের ভীল লক্ষ্য করা যায়।
এছাড়া অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে সকাল থেকে দুপুর একটা পযর্ন্ত ঢাকা থেকে চাঁদপুর এসেছে লঞ্চ এমভি সোনার তরী-২, এমভি ইমাম হাসান, বোগদাদীয়া-৭, আবে জম জম-১, এমভি মিতালী ৭সহ ১০টি লঞ্চ।
করেসপন্ডেট, ৪ জুলাই ২০২০