Home / চাঁদপুর / চাঁদপুর মোলহেডে পিকনিকে এসে অপহৃত শরীয়তপুরের দু’যুবক
চাঁদপুর মোলহেডে পিকনিকে এসে অপহৃত শরীয়তপুরের দু’যুবক

চাঁদপুর মোলহেডে পিকনিকে এসে অপহৃত শরীয়তপুরের দু’যুবক

আশিক বিন রহিম | আপডেট: ১০:০৪ অপরাহ্ণ, ২১ আগস্ট ২০১৫, শুক্রবার

চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশনে দিন দিন বেড়েই চলছে অনাকাংখিত ও অপ্রীতিকর ঘটনা। আর এসব ঘটনা এড়াতে এখানো যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করছে না জেলা পুলিশ প্রশাসন। ফলে জেলা সবচেয়ে জনপ্রিয় পিকনিক স্পট বড় স্টেশনে একই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেই চলছে। মোটর সাইকেল, মোবাইল ছিনতাইয়ের পর এবার মোলহেডে পিকনিকে এসে অপহরণের শিকার হলো শরিয়তপুরের ২ যুবক। দীর্ঘ উদ্বেগ আর আতঙ্কের ইতি ঘটিয়ে ২০ হাজার টাকায় মুক্তি মিললো তাদের।

শুক্রবার বিকেলে এই অপ্রীতিকর ঘটানাটির শিকার হয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পরে শরিয়তপুর থেকে আসা ৫৬ সদস্যের একটি পিকনিক দল। সন্ধ্যায় অপহরণকারীদের হাত থেকে মুক্তিপনে মুক্ত হওয়া সুজন (২২) জানায়, শুক্রবার দুপুর ২টায় তারা ৫৬জন বন্ধু মিলে ট্রলার ভাড়া করে চাঁদপুর বড় স্টেশন মোহনায় পিকনিক করতে আসে। দুুপুরে এখানেই রান্না করা খাবার খেয়ে যে যার মতো ঘুরতে যায়। এসময় তাদের দলের মেহেদী ও নাজমুল নামের দুজন নদীর দক্ষিণ পাশ্বে নিজেদের ছবি মোবাইলে ধারণ করে। এসময় হঠাৎ ১০/১২জনের স্থানীয় একটি চক্র ‘মেয়েদের ছবি তোলছো কেন’ বলেই তাদের মোবাইল ফোন জব্দ করে রক্তধারার কাছে জাকিরের চায়ের দোকানে নিয়ে আসে। সেখানে এনে ওই দুই যুবকের অভিভাবকদের ডাকতে বলে। পরে সুজন সেখানে গেলে চক্রটি তাকেও আটকে ফেলে। এরই এক ফাঁকে মেহেদি ও নাজমুলকে অটো রিক্সাযোগে গোপনস্থানে নিয়ে যায়। পরে সুজনের সাথে চক্রটির ৩ সদস্য দিয়ে বলা হয় ২০হাজার টাকা নিয়ে আসলে অপহৃতদের মুক্তি দেয়া হবে।

তবে এ ব্যাপারে কাউকে কিছু বলে অপহৃতদের সর্বনাশ করে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। সুজন তাদের কথা মতো বন্ধুদের কাছ থেকে একে একে ১৯ হাজার টাকা সংগ্রহ করে এবং ৩টি মোবাইল অপহরণকারীদের দিয়ে দেয়। কিছুক্ষণ পর অপহরণকারীরা মেহেদি ও নাজমুল ছেড়ে দেয়। নাজমুল জানায়, তাদের অটোযোগে অনেক দূরে নিয়ে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে।
শেষে স্থানীয়দের সহযোগিতায় এ ব্যাপারে মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হলে মডেল থানায় এসআই ফিরোজ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ব্যাপারে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি পুুলিশ।
সচেতন মহলের দীর্ঘদিনের দাবি মোলহেডে একটি পুলিশ বক্স স্থাপন হোক। যাতে করে ভ্রমণপ্রিয় মানুষগুলো মোহনায় এসে স্বস্তিতে প্রাণভরে নিঃশ্বাস নিতে পারে। কিন্তু প্রশাসন পূর্বে এমন প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন পর্যন্ত সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তাবায়িত হয়নি। ফলে ঘটছে একের পর এক অপ্রীতিকর ঘটনা।

চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/এমআরআর/২০১৫