সরকারের সুদুরপ্রসারী এবং ব্যয়বহুল ইলিশ রক্ষা অভিযান কর্মসূচির কাঙ্খিত সাফল্য কতটুকু অর্জিত হয়েছে এ সকল প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছ ঘাটে গেলেই খুব সহজেই মিলে যাবে।
লুকিয়ে নয় এখন খোলামেলা বিক্রি করা হচ্ছে ইলিশ। এখানকার মাছ ঘাটের ব্যবসায়ীদের মাছ বিক্রি করা দেখে মনে হচ্ছিলো নিষিদ্ধ সময়টা যেনো এখন আর নেই। দু’তিন আগেও ইলিশ বিক্রি হতো কিন্তু তা লুকিয়ে। পহেলা বৈশাখকে টার্গেট করে এখন মাছ ঘাটে প্রকাশ্যে ইলিশ বিক্রি করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।
জাতীয় সম্পাদ ইলিশ রক্ষায় পদ্মা-মেঘনায় ইলিশের অভয়াশ্রমে (মার্চ-এপ্রিল) ৬০ দিনের জন্য সকল প্রকার জাল ফেলা নিষিদ্ধ।
ইলিশ রক্ষায় স্থল ও নদী পথে মা ইলিশ রক্ষা টাস্কফোর্স, জেলা প্রশাসন, পুলিশ, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌ-বাহিনী ও জেলা মৎস অধিদপ্তরসহ ৭টি সংস্থা জাটকাসহ ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে কাজ কাজ করছেন। এর মধ্যে নদীপথে কোস্ট গার্ড ও নৌ পুলিশের অভিযান কারেন্ট জাল ও জেলে আটক হলেও আটক হচ্ছেন না অসাধু ব্যবসায়ীরা।
বছরের এই সময়টাতে ইলিশ ধারা এবং বিক্রি করা সম্পূর্ন আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু সেই আইন অমান্য করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের প্রলোভন ও অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়ে জেলেরা নদীতে মাছ শিকার করে। আর সে মাছ আবার বিক্রি হচ্ছে চাঁদপর বড় স্টেশন মাছ ঘাটে।
বৈশাখের দোহাই দিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা মেতে উঠেছে ইলিশ বিক্রির মাহাউৎসবে।
সোমবার সকালে বড় স্টেশন মাছ ঘাটে গিয়ে দেখা যায় পুরো মাছ ঘাটে ক্রেতাদের ভীড়। ক’দিন আগেও মাছ ঘাটের দৃশ্য ছিলো জনশূণ্য। দেখ মনে হতো সরকারি নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি ভাবে পালন করছে মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
চাঁদপুর জেলা ম্যৎস্য মণিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মিজানুর রহমান কালু ভূঁইয়া চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘আমি চাঁদপুরের বাইরে রয়েছি। এখন বড় স্টেশন মাছ ঘাটের বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। ম্যৎস্য ব্যবসায়ীরা যদি এরকম কাজ করে থাকে সেটা বড় ধরনের অপরাধ করেছে। আমি চাঁদপুরে এসে এ বিষয়ে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিবো।’
: আপডেট ৫ : ১৮ পিএম, ১১ মার্চ ২০১৬, সোমবার
ডিএইচ