চাঁদপুর

চাঁদপুর বড়স্টেশনে তোলা ছবিটি এখন শুধুই স্মৃতি!

মায়ের সাথে কিংবা সহপাঠিদের সাথে আর ছবি তোলা হবে না মুন্নির। মায়ের সাথে চাঁদপুর বড় স্টেশনে তোলা ছবিটি এখন শুধুই স্মৃতির পাতায় রয়ে থাকবে। একটি আত্মহত্যায় সমাপ্তি ঘটালো স্কুল ছাত্রী মুন্নির জীবন।

২০১৭ সালের এস এসসি পরীক্ষা দেওয়া হলো না মুন্নি আক্তারের। সকলকে কাঁদিয়ে বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে গলায় উড়না পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যারপথ বেঁেছ নেয় সে।

কোন অজ্ঞাত অভিমানে মুন্নি চলে গেলো তা নিয়ে সহপাঠি ও এলাকাবাসির মধ্যে চলছে নানা গুঞ্জন।

মুন্নি ২০১৭ সালে চাঁদপুর ষোলঘর ওয়াবদা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিলো। কিন্তু তার সহপাঠিদের সাথে পরিক্ষায় অংশ না নিয়ে সকলকে চির বিদায় জানালো।

স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, চাঁদপুর সদর উপজেলার তরপুরচন্ডী ইউনিয়নের বিটি রোড এলাকার বসবাসকারী মাসুদ খানের মেয়ে মুন্নি আক্তার নিজ ঘরের ভেতর সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
নিহত মুন্নি ইতিপূর্বে একই এলাকার জনৈক যুবকের সাথে ১বছর ৯মাসের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো বলে পর পর কয়েকবার বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় অপহরণ মামলা করা হয়ে এসআই নূরুল হক অভিযান চালিয়ে কুমিল্লা থেকে তাকে উদ্ধার করেছিলো। সে সময় আদালত থেকে মুন্নিকে মায়ের জিম্বায় দেয়া হয়, বাড়ি ফেরার পথে সে আবারো পালিয়ে যায়।

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে পরিবারের লোকজন মুন্নির কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে জানালা দিয়ে দেখতে পায় সিলিং ফ্যানের ওড়না প্যাচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় ঝুলে আছে।

পরে মডেল থানা পুলিশকে খবর দেয়া হলে এসআই রাশেদুজ্জামান ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।

এ বিষয়ে চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওয়ালিউল্লাহ অলি চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘আবেগাপ্লুত হয়ে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া মোটেও ঠিক নয়। প্রতিটি জীবন অত্যন্ত মহা মূল্যবান। এ ধরনের অন্যায় সিদ্ধান্ত না নিয়ে সকলকে তার জীবনের সুন্দর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করতে হবে। এ ধরণের একটি ভুলের কারণে পরিবার ও সমাজ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত ও স্বপ্নহীন হয়ে যায়।’

এ সংক্রান্ত আরেকটি প্রতিবেদন…..দু’দিনে চাঁদপুরের বিভিন্ন স্থানে ৫ জনের আত্মহত্যা

: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১:০০ এএম, ২৫ নভেম্বর ২০১৬, শুক্রবার
ডিএইচ

About The Author

প্রতিবেদক- মাজহারুল ইসলাম অনিক
Share