Home / চাঁদপুর / চাঁদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের নারী সেলে বিচারপ্রার্থীদের হিড়িক
চাঁদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের নারী সেলে বিচারপ্রার্থীদের হিড়িক
অভিযোগ গ্রহণ করছেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) প্রতিভা রাণী

চাঁদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের নারী সেলে বিচারপ্রার্থীদের হিড়িক

চাঁদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের নারী সেলে সাধারণ বিচারপ্রার্থীদের হিড়িক, প্রতিদিন জমা পড়ছে ৩৫ থেকে ৪০টি অভিযোগ, শতাধিক অভিযোগ নিস্পত্তি

চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার জেলার সাধারণ মানুষের বিশেষ করে নির্যাতিত নারী ও শিশুদের কথা চিন্তা করে  পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অভিযোগ সেল গঠন করেন।  অভিযোগ সেল গঠনের পর থেকে সাধারণ নারীদের মাঝে জেলা পুলিশের প্রতি আস্থা অনেকাংশেই বেড়েছে।

গত ২০১৫ সালের ৮ অক্টোবরে এ অভিযোগ সেল গঠন করা হয়।  প্রতিদিন বহু সাধারণ বিচারপ্রার্থী নারী ও শিশু নির্যাতন বিষয়ক অভিযোগ জমা পড়ছে সে সাথে অভিযোগগুলি উভয় পক্ষের শুনানি শেষে নিষ্পত্তি করা হচ্ছে।

এ ক্ষেত্রে চাঁদপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন বিষয়ক জটিলতা অনেকাংশে কমে গেছে বলে অনেকে মন্তব্য করেন।

জেলা পুলিশ সুপারের তদারকিতে অভিযোগ সেলের দায়িত্বে রয়েছেন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) প্রতিভা রাণী।

তিনি চাঁদপুরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত সকল সাধারণ অসহায় মানুষের কথা আন্তরিকতার সাথে শোনে তার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।

উপপরিদর্শক (এসআই) প্রতিভা রাণী চাঁদপুর টাইমসকে জানান, প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ টি অভিযোগ জমা পড়ছে। এসব অভিযোগের সব গুলোই হলো নারী ও শিশু নির্যাতন বিষয়ক।

রোববার (৫ জুন) দুপুরে অভিযোগ সেল কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, একাধিকে সাধারণ অনেক বিচার প্রার্থী নারীরা অভিযোগ বলার অপেক্ষারত। অপরদিকে পুলিশ কর্মকর্তা প্রতিভা রানী একের পর এক ধৈর্য সহকারে সেসব বিচার প্রার্থীদের কথা মনযোগসহকারে শুনার পর পরামর্শ প্রদান ও অভিযোগ গ্রহন করছেন।

একজন বিচার প্রার্থী নারীর সাথে আলাপকালে তিনি জানান,  তিনি চাঁদপুর সদর উপজেলার  গাছতলা গ্রাম থেকে এসেছেন তার মেয়েকে যৌতুকের জন্য মেয়ের জামাই মারধর করে। বহুবার তার মেয়ের জামাইকে বুঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি লোকমাধ্যমে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অভিযোগ সেল গঠন করার কথা শুনার পর অবশেষে কোনো উপায়ান্তর না দেখে এখানে অভিযোগ করতে এসেছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে বিচার প্রার্থী এ নারী জানান, মামলা করে আদালত ও কোর্ট কাচারির হয়রানির চাইতে পুলিশ সুপারের এ মহতি উদ্যেগকে তিনি গুরুত্ব সহকারে দেখছেন।

অন্যান্য আরো কয়েকজন জনান, সরাসরি মামলায় না গিয়ে এখানে অনেকাংশে বিচার মিমাংসা করা হয় বলে এ পদ্ধতিকে তিনি সাধারণ মানুষের জন্য একটি কার্যকরী ও সময় উপযোগী বলে তারা মন্তব্য করেন তারা।

উপপরিদর্শক (এসআই) প্রতিভা রাণী চাঁদপুর টাইমসকে আরো জানান, এ পর্যন্ত শতাধিক  বিচার প্রার্থী নারী ও শিশু নির্যাতন অভিযোগ নিস্পত্তি করা হয়েছে।’

এ ব্যপারে পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার গত জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসের আলোচনা সভায় বলেছেন, জেলার সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার জটিলতা কমানোর জন্য এ অভিযোগ সেল গঠন করা হয়। এতে করে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এখানে সার্বক্ষনিক সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করা আছে। যে কোনো নির্যাতিতা নারী ও শিশু  এখানে অভিযোগ করতে পারেন বলে তিনি বলেন।

]প্রতিবেদন- আশিক বিন রহিম[

Leave a Reply