চাঁদপুর শহরের হাজী মহসীন রোডস্থ নাভানা হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সের অবহেলায় ২দিন বয়সী নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (১ জুন) দুপুর ১টায় ওই হসপিটালের নার্স রুমা আক্তার শিশুটিকে ঠান্ডা জনিত রোগ প্রতিরোধক ইনজেকশন পুশ করার কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয়।
নিহত শিশু চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহ্মাহমুদপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মান্দারী গ্রামের মো. আল-আমিন গাজী ও নাছিমা বেগম এর প্রথম সন্তান।
নিহত শিশুর মা নাছিমা বেগম জানান, গত ৩০ মে দুপুরে প্রসব বেদনা হওয়ায় উল্লেখিত হসপিটালে স্বজনরা এনে ভর্তি করান। ওই দিন সন্ধ্যায় ডাঃ শামসুন্নাহার তানিয়া সিজারিয়ান করেন। এতে পুত্র সন্তান ভুমিষ্ঠ হয়। জন্মের পর থেকেই শিশুটির ঠান্ডার কারণে শ^াস নিতে সমস্যা দেখা দেয়। গত দুই দিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসা দিয়ে আসছিলো।
ঘটনার পূর্বে মায়ের কোল থেকে নার্স জোর করে নিয়ে ইনজেকশন পুস করে। নাছিমা বেগম নার্সকে একাধিকবার ইনজেকশন না দিয়ে আরো উন্নত কোন চিকিৎসা দেয়া যায় কিনা অনুরোধ করেছিলেন। গত দুই দিন ওই শিশু চিকিৎসক হসপিটালে আসেননি ও শিশুটির অবস্থাও পর্যবেক্ষণ করা হয়নি।
নার্স রুমা আক্তার জানান, হাসপাতালের নবজাতক, শিশু ও কিশোর রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আসমা বেগম শিশুটির রুটিন চিকিৎসা পত্রে যে ইনজেকশন এর কথা উল্লেখ করেছেন, সে আলোকে তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
হাসপাতালের শিশু ও নবজাতক চিকিৎসক আসমা বেগম জানান, শিশুটির জন্মের পরেই ঠান্ডার কারণে শ^াস নিতে সমস্যা দেখা দেয়। আমি প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে যেতে শিশুর অভিভাবক ও হাসপাতাল দায়িত্বশীলদের জানিয়েছি।
হাসপাতালের ব্যবস্থাপক আরমান হোসেন জানান, আমরা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নবজাতকের পরিবারের লোকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেছি। কিন্তু তারা আমাদের পরামর্শ শুনেনি।
এদিকে খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আওলাদ হোসেন ঘটনাস্থলে এসেছেন। তিনি হাসপাতাল থেকে শিশুটিকে প্রয়োগ করা ইনজেকশন ও সিরিঞ্জ আলামত হিসেবে নিয়েগেছেন। তিনি জানান, শিশুর অভিভাবকের কেউ অভিযোগ দিলে আমরা আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। শিশুর মরদেহ (এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত) ওই হাসপাতালেই রয়েছে।
প্রতিবেদক- মাজহারুল ইসলাম অনিক