প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের প্রতীক খেজুর গাছ। পাশাপাশি অর্থকরী সম্পদও। আবহমান গ্রাম বাংলার মানুষের ঐতিহ্যের সঙ্গে যুগ যুগ ধরে এ গাছের সর্ম্পক অতি পুরনো ও নিবিড়। পূর্বে গ্রাম বাংলার প্রায় প্রতিটি গ্রামের রাস্তার দু’পাশে কিংবা বাড়ির আশেপাশে খেজুর গাছ সারিসারি দেখা যেতো।
শীত মৌসুম আসা মাত্রই প্রতিটি খেজুর গাছে গাছিরা হাঁড়ি দিয়ে সুস্বাদু রস সংগ্রহ করতো। বউ-জামাই ও নাতি-নাতনী, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে শীতের দিনে রসের পাটালিগুড় ও পিঠা তৈরির ঐতিহ্যগুলি বর্তমান ডিজিটাল যুগে প্রায় বিলুপ্তির পথে।
বিশেষ করে শীত মৌসুমের শেষে হাঁড়িতে জমাকৃত খেজুরেরগুড় আত্মীয় স্বজনদের দেয়া হতো। মাত্র কয়েক বছর আগেও চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে খেজুর গাছে রসের হাড়ি ঝুলে থাকার দৃশ্য দেখা যেতো।
কিন্তু কালের আবর্তেনে অপরিকল্পিত ভাবে রস সংগ্রহ করা এবং নতুন করে খেজুর গাছ না লাগানোর কারনে খেজুর গাছ বর্তমানে বিলুপ্তির পথে। তবে কচুয়া-সাচার-ঢাকা আঞ্চলিক সড়কের চাংপুর এলাকায় রাস্তার পাশে বেশকিছু খেজুর গাছের দৃশ্য দেখা গেছে। স্থানীয় চাংপুর গ্রামের অধিবাসী মোঃ শাহআলম মিয়ার প্রতিদিন এ গাছগুলোতে খেজুরের রস আহরন করে থাকেন।
তিনি জানান, আগের মতো এখন আর রস হয়না। প্রতি হাঁড়ি রস বাজারে ২’শ ৫০ টাকা থেকে ৩’শ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে। তাও আবার অনেক চাহিদা রয়েছে।
বর্তমানে আর মাঠের ধারে, পল্লীর নিভৃতে গেঁয়ো পথের পাশে সারি সারি খেজুর গাছের দৃশ্য চোখে পড়েনা। চোখে পড়ে না খেজুর গাছে রস সংগ্রহের মাটির হাড়ি।
তবে জেলার কয়েকটি অঞ্চলে পর্যাপ্ত খেজুর গাছ থাকলেও গাছির (রস সংগ্রহকারী শ্রমিক) সংকটে খেজুর রস সংগ্রহ করা যাচ্ছে না বলেও
জিসান আহমেদ নান্নু
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ২:০৩ পিএম, ১৪ জানুয়ারি ২০১৮, রোববার
ডিএইচ