চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ১:৩৯ পিএম, ৫ অক্টোবর ২০১৫, সোমবার
মেঘনা নদীতে নৌকাডুবিতে নিহত তাছকিয়া সুলতানা তানিয়ার লাশ পৌর কবরস্থান থেকে উত্তোলন করে কুমিল্লায় তার নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।
রোববার রাত ৮টায় লাশ উত্তোলন করা হয়।
এ সময় সেখানে মডেল থানার উপ-পরিদর্শক হামিদুর রহমান ও তানিয়ার পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
তানিয়ার বাবা আবুল কাশেমের আবেদনের প্রেক্ষিতে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আমির আবদুল্লা মোহম্মদ মঞ্জুরুল করিমের অনুমতিক্রমে এ লাশ উত্তোলন করা হয়। পরে অ্যাম্বুলেন্সযোগে আবুল কাশেম, কাকা নজরুল ইসলাম, ভাই রফিকুল ইসলাম রনি, মো. আরিফুল ইসলাম জনি ও আত্মীয়-স্বজনরা লাশ কুমিল্লা নিয়ে দাফন করে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর তানিয়ার জন্মদিন ছিল। ওইদিন বান্ধবীর বাসায় গিয়ে কেক কাটবে বলে তানিয়া বাসা থেকে বের হয়। তারপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল, তার মুঠোফোনটিও বন্ধ ছিল।
২৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলার বহরিয়া এলাকায় মেঘনা নদীতে এক নারীর লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয় জনতা পুলিশকে খবর দেয়। চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হামিদুল হক ওই লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ হিসেবে আঞ্জুমানে খাদেমুল ইনসানের কাছে হস্তান্তর করে। পরে তারা লাশ চাঁদপুর পৌর কবরস্থানে দাফন করে।
উল্লেখ্য, তানিয়া কুমিল্লা পিআই কলেজের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল। তার প্রতিবেশী আবুল কালামের ছেলে শামীমের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২৭ সেপ্টেম্বর সবার অজান্তে তারা একসাথে বের হয়। ওই দিন মেঘনা নদীতে নৌকাডুবিতে তারা নিহত হন। ৩০ সেপ্টেম্বর শামীমের লাশ ভোলা জেলা পুলিশ উদ্ধার করে। তাকে ১ অক্টোবর পরিবারের লোকজন কুমিল্লা নিয়ে গিয়ে দাফন করে।
চাঁদপুর টাইমস-ডিএইচ/২০১৫।