চাঁদপুর পুরাণবাজার রঘুনাথপুরে ডাকাতীয়ার ভাঙনরোধে এখনো পর্যন্ত কার্যত কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। ফলে ভাঙনের শিকার অসহার মনুষগুলো দুর্ভোগ এখন চরম পর্যায়ে। পরিবার-পরিজন নিয়ে অসহায় মানুষগুলো এখন খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছে। ভাঙ্গন আতংকে দিন কাটাচ্ছে ওই এলাকার শতাধিক পরিবার।
ইতোমধ্যেই ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ও চাঁদপুর পৌর মেয়র।
সোমবার (১৯ অক্টেবার) ভাঙন কবলিত এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পুরাণবাজার রঘুনাথপুর এলাকার গত শুক্রবার রাতে হঠাৎ করেই সৃষ্ট হওয়া ডাকাতীয়ার ভাঙন এখানো বন্ধ হয়নি। ওই এলাকার ৬ নং ওয়ার্ডের বোয়াল বাড়ি থেকে আদর্শ গ্রাম পর্যন্ত প্রায় ২ মাইল এলাকার নদীপাড়ে আবারো বৃহৎ ফাটল দেখা দিয়েছে। ডাকাতিয়া সংশ্লিষ্ট উত্তাল মেঘনার কয়েক ঘন্টার তান্ডবে নদীতে বিলিন হয়ে যাওয়া ৫ টি বসত ঘরের অসহায় মানুষগুলো এখানো খোলা আকাশের নিচে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে।
সরকারি বা বেসরকারিভাবে কোনো সহায়তা এখানো তাদের ভাগ্যে জোটেনি। ভাঙনের শিকার বেশ ক’য়েক জনের সাথে আলাপকালে তারা জানা যায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে হঠাৎ করে ভাঙনের দেখা দেয়। মাত্র কয়েক ঘন্টার ভাঙনে মাসুদ গাজী, মো: অলমগীর গাজি, জাহাঙ্গীর গাজী, ও সাহেব আলীর ঘর সহ মোট ৫ টি বসত ঘর নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যায়।
তাৎক্ষনিক অনেক মুল্যবান আবাবপত্র ও কাগজপত্র সরিয়ে নিতে না পারায় তা নদিতে তলিয়ে গেছে। এতে করে ওই পরিবারগুলো ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। স্থানীয় জাহাঙ্গীর হোসেন জানায়, ভাঙন প্রতিরোধে কর্তৃপক্ষ এখনো পর্যন্ত কোনো প্রকার ব্যবস্থা না নেয়ায় রঘুনাথপুর গ্রামের প্রধান সড়ক এবং ওই এলাকার ডব্লিউ রহমান জুট মিল, বেলু গাজির বাড়ি, আশ্রায়ন প্রকল্প, বোয়াল বাড়ি, কাজি বাড়ি, গাজি বাড়ি ও বেপারি বাড়িসহ প্রায় শতাধিক বাড়ি হুমকির মুখে রয়েছে।
এলাকাবাসির দাবি নদী ভাঙন প্রতিরোধের অতিদ্রুত কার্যকর ব্যাবস্থা গ্রহন করা হোক। তা না হলে ওই এলাকার শত শত পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়বে।
আশিক বিন রহিম