Home / উপজেলা সংবাদ / ফরিদগঞ্জ / ফরিদগঞ্জ আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন বঞ্চিত ‘ক্রাইসিস মুহূর্তের এমপি’
Lion-Harun
ফাইল ছবি

ফরিদগঞ্জ আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন বঞ্চিত ‘ক্রাইসিস মুহূর্তের এমপি’

চাঁদপুরের ৫টি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে নানা নাটকীয়তা চললেও এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত অঘটন হচ্ছে চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে ‘ক্রাইসিস মুহূর্তের এমপির’ বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়া। এ আসনে বিএনপির এই সাবেক এমপিসহ নেতাকর্মীদের কাছেই বিষয়টি অবিশ্বাস্যই মনে হচ্ছে।

জানা গেছে, সাবেক এমপি লায়ন হারুনুর রশিদ বর্তমানে ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির রাজস্ব ও ব্যাংকিংবিষয়ক সম্পাদক। তাকে বলা হতো বিএনপির ক্রাইসিস সময়কার এমপি। ওয়ান ইলেভেন পরবর্তী সময় বিএনপির জন্য মহাদুর্যোগকাল।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি চাঁদপুর জেলার পাঁচটি আসনের মধ্যে বিএনপি-জামায়াত জোট মাত্র একটি আসনে বিজয়ী হয়। আর সে আসনটিই চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ)। এ আসনে বিজয়ী হন লায়ন মো. হারুনুর রশিদ।

সেজন্য অন্য এমপিদের সঙ্গে দলে তার গুরুত্বটাই ছিল অন্যরকম। কিন্তু এই ক্রাইসিস সময়কার এমপি এবং উপজেলা বিএনপির সভাপতি লায়ন হারুনুর রশিদ নিজ আসনেই দলের মনোনয়ন পাওয়া তিন জনের একজনের মধ্যেও ঠাঁই পেলেন না।

এটা রাজনৈতিক অঙ্গনে একটা বড় অঘটন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। নেতাকর্মীদের সবারই ধারণা ছিল, এমএ হান্নানের সঙ্গে লায়ন হারুনকেও মনোনয়ন দেয়া হবে।

কিন্তু দেখা গেল যে, এমএ হান্নানের সঙ্গে এমন আরও দু’জনকে মনোনয়ন দেয়া হল যাদের ফরিদগঞ্জের রাজনীতিতে তেমন কোনো পরিচিতিই নেই। এদিকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লায়ন হারুন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তার সমর্থকদের আশা বিএনপি হাইকমান্ড শেষ মূহূর্তে হলেও তাদের ভুল বুঝতে পারবে।

কারণ ২০০৮ সালে যখন বিএনপি প্রার্থী শূন্য অবস্থায় পড়তে যাচ্ছিলেন। তখন এই লায়ন হারুনই শেষ মুহূর্তে আইনি জটিলতা কাটিয়ে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে বিজয়ের হাসি হাসতে পেরেছিলেন। তাই তাকে বঞ্চিত করা উচিত হয়নি বলে মনে করছেন সাধারণ কর্মীরা। (যুগান্তর)

বার্তা কক্ষ
০২ ডিসেম্বর,২০১৮