চাঁদপুর শহরে মাকসুদুর রহমান (২২) নামের এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ পাওয়া গেছে। রোববার (২৬ নভেম্বর) সকালে শহরের চেয়ারম্যান ঘাটাস্থ ডাঃ এম এ গফুরের একটি সেমি পাকা ফাঁস দেয়া অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত যুবক চাঁদপুর পৌরসভার ১৩ নং ওয়াডের বাবুহাটস্থ দক্ষিণ দাসদী গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। সে পরিবারের চার ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট। সম্প্রতি বিদেশ যাওয়ার উদ্দেশ্যে পাসপোর্টও করেছে বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে। পরিবারের ধারণা সে আত্মহত্যা করেছে।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার এসআই আনোয়ার হোসেন ও এস আই কামরুজ্জামান সঙ্গর্গীয় ফোর্স নিয়ে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় যুবকের ঝুলন্তলাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছেন।
নিহতের পিতা দীর্ঘদিন ধরে চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালে কেয়ার টেকার হিসেবে চাকরি সুবাদে মাকসুদ হাসপাতালের পেছনে একটি টিনশেডের চায়ের দোকান চালাতেন এবং তিনি ওই দোকানেই ঘুমাতেন।
নিহতের বড় ভাই মোঃ আবদুল্লা আল মামুন চাঁদপুর টাইমসকে জানান, শনিবার সন্ধ্যায় সে বাবুরহাটের বাসা থেকে চলে আসে। রাতে কয়েকবার ফোন করলে মাকছুদ জানায় আমি রাতে ফিরবো। কিন্তু মাকছুদ বাসায় না ফেরায় পরের দিন রোববার সকালে কুমিল্লা রোডে বাসায় গিয়ে তাঁকে অনেক্ষণ ডাকাডাকি করে। ভেতর থেকে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে জানালা দিয়ে উঁকি মেরে দেখি মাকছুদ গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে আছে। বিষয়টি আমি তাৎক্ষণিক আমার ভগ্নিপতিকে জানালে তিনি পুলিশকে খবর দেন।
পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন চাঁদপুর টাইমসকে জানান, শনিবার দিবাগত রাতে নিহত মাকসুদুর রহমান মোবাইল ফোনে বাড়িতে যাবে বলে তার বড় ভাই আবদুল্লাহ আল মামুনকে ঘরের দরজা খোলা রাখতে বলেন। কিন্তু সে রাতে বাড়িতে না যাওয়ায়, সকালে সে এসে দেখেন ওই ঘরের দরজা বন্ধ। অনেক ডাকা ডাকি করে তার কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখেন মুকবুল রশি দিয়ে ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় ঝুলে আছে।
পরে পুলিশ স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ঘরের দরজা ভেঙ্গে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠান।
কবির হোসেন মিজি
: আপডেট, বাংলাদেশ ০৫ : ০৩ পিএম, ২৬ নভেম্বর, ২০১৭ রোববারstrong>
ডিএইচ