সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রিয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আ.ন.ম এহছানুল হক মিলন চাঁদপুর আদালতে নিয়মিত হাজিরা দিয়েছেন। বুধবার (৩ জুলাই ) দুপুর ১ টায় জি.আর ৭ মামলায় অপর আসামীদের নিয়ে জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-১ তিনি হাজিরা দেন।
২০০৪ সালের কচুয়া উপজেলার কচুয়া বাজারে আওয়ামী লীগ অফিস কার্যালয় ভাংচুরের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় এহছানুল হক মিলনসহ অজ্ঞাত ৫০-৬০ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলাটি বর্তমানে জি.আর ৭/২০০৪ মামলায় রূপান্তরিত হয়েছে। ওই মামলায় নিয়মিত হাজিরা হিসেবে তিনি বুধবার চঁাদপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট-১ এর বিচারক হাছানুজ্জামানের আদালতে অপরাপর আসামীদের নিয়ে হাজিরা দেন।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, বর্তমান সরকার উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবেই বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে যাচ্ছে। ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর বাহিনীরা নামে বেনামে কচুয়ায় বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর বহু মামলা দিয়েছে। আর প্রতিটি মামলায় আমাকেই প্রধান আসামী করা হয়েছে। কে বা কারা সেদিন কচুয়াতে তাদের কার্যালয় ভাংচুর করেছে আমি এলাকায় না থাকলেও আমাকেই এ মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে। এর বিচার যেন আল্লাহ করেন।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এ মামলার অভিযুক্ত আসামী কচুয়া উপজেলা যুবদলের সভাপতি মাসুদ এলাহী সুভাস, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিম পাটওয়ারী, জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যান, আব্দুস সালাম শান্ত, শাহজালাল প্রধানীয়া, মিজান চেয়ারম্যান, শরিফুল হক সাজু, রনি তালুকদার, দিপু মিয়াজী সহ আরও অনেকে।
এহছানুল হক মিলনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাড.ফজলুল হক সরকার ও জুনিয়র আইনজীবী অ্যাড.মাইনুল ইসলাম। পরবর্তী তারিখ ধার্য্য করা হয়েছে ২৬ আগস্ট।
আশিক বিন রহিম
৩ জুলাই ২০১৯
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur