Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরে কৃষি ও দারিদ্র বিমোচনে ৩১২ কোটি ৬১ লাখ টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা
news-tk-
প্রতীকী ছবি

চাঁদপুরে কৃষি ও দারিদ্র বিমোচনে ৩১২ কোটি ৬১ লাখ টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা

চাঁদপুর জেলায় রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাংক শাখাগুলো ২০২০-২০২১ অর্থবছরের ৩১২ কোটি ৪৭ লাখ ৬১ হাজার টাকা কৃষি ঋণ ও দারিদ্র বিমোচন খাতে বিতরণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক সব চাঁদপুরস্থ ব্যাংকগুলোকে বরাদ্দ দিয়েছে। বিশেষ করে স্বল্প সুদে ডাল জাতীয় ফসল,মসলা, তেলবীজ ও ভূট্টা উৎপাদনে ৪% সুদে ঋণ প্রদান করার সরকারি নিদের্শ রয়েছে ।

বৃহস্পতিবার ৩ সেপ্টেম্বর সংশ্লিষ্ট সকল ব্যাংকের সূত্রে ও কৃষিঋণ কমিটিতে্ উপথ্থাপিত এক প্রতিবেদন সুত্রে এসব তথ্য জানা গেছে ।

প্রাপ্ত তথ্যমতে চাঁদপুর জেলার,পল্লী উন্নয়ন সংস্থা বিআরডিবি ,সোনালী ব্যাংক ১৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা,অগ্রণী ব্যাংক ১৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা, জনতা ব্যাংক ৯ কোটি ৫৯ লাখ ৮৮ হাজার টাকা, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ১৮৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা,কর্মসংস্থান ব্যাংক ৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা, রূপালী ব্যাংক ৬৫ লাখ টাকা এবং বেসিক ব্যাংক ৮০ লাখ টাকা চলতি অর্থবছর কৃষি ও দারিদ্র্যবিমোচনে বিতরণ করবে ।

এছাড়াও চাঁদপুরের ২৪ বেসরকারি ব্যাংক ৬৩ কোটি ৭৪ লাখ ৭৩ হাজার টাকা চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ন্যাশনাল, পূবালী, উত্তরা, ইসলামী , আল-আরাফা, শাহজালাল , ফার্স্ট সিকিউরিটি, সিটি , ইউনাইটেড কমার্শিয়াল, ব্র্যাক , সোশ্যাল ইসলামী , মার্কেন্টাইল, এনসিসি, প্রাইম, এশিয়া, ডাচ ,ট্রাস্ট , স্ট্যান্ডার্ড ,পদ্মা ও ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড চাঁদপুর জেলায় এসব ব্যাংকের শাখাগুলো থেকেও গ্রাহকরা কৃষি ও অন্যান্য দারিদ্রবিমোচন খাতে ঋণ গ্রহণ করতে পারবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

চাঁদপুর দেশের একটি অন্যতম প্রধান অঞ্চল। মেঘনা,পদ্মা ,মেঘনা ধনাগোদা ও ডাকাতিয়া নদী বেষ্টিত চাঁদপুর জেলায় চাঁদপুর মতলব
উত্তর,চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলা নদীর ভাঙ্গনের কবলে পতিত হওয়ার কারণে প্রায় ১১টি বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল রয়েছে। নদীভাঙ্গন তাদের চিরদু:খ।

নদীতীরবর্তী রয়েছে ২০টি ইউনিয়নে বিপুল পরিমাণ কৃষি পণ্য উৎপাদন হয়ে থাকে এসব নদতীরবর্তী ও চরাঞ্চলগুলোতে। এছাড়াও মৎস্য শিকার,গবাদি পশু ও হাঁস মুরগি প্রতিপালন,শাকসবজি উৎপাদন এ অঞ্চলের নারীদের প্রধান আয়ের উৎস। আমাদের দেশের ঋতুবৈচিত্র্যের সাথে লড়াই করে তারা জীবন-জীবকা নির্বাহ করে আসছে ।

ইরি-বোর’র পাশাপাশি রবি ফসলের মধ্যে রয়েছে আলু, ভুট্টা,গম, সরিষা, পেঁয়াজ,রসুন , মরিচ , মিষ্টি আলু , দনিয়াপাতা ,তীল, কালিজিরা প্রভৃতি। বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজি প্রচুর পরিমাণে উৎপাদন হয়ে থাকে চাঁদপুরে ।

এদিকে চাঁদপুর সেচ প্রকল্প ও মতরবে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প চাঁদপুরবাসীর জন্যে আর্শিবাদ । খাদ্য উৎপাদনে সেচ প্রকল্প দু’টো এক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে ।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ, চাঁদপুরের কৃষিবিদগণ মাঠ পর্যায়ে তাদের সকল প্রকার প্রশিক্ষণ ও ফসল উৎপাদনে সকল প্রকার পরামর্শ দিয়ে প্রদান করে থাকে। কৃষি উৎপাদন উৎপাদন প্রয়োজনীয় ঋণ প্রদান করে থাকে সকল প্রকার সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক,বিআরডিবি ও কোনো কোনো এনজিও।

সরকার ইরি-বোরোর উৎপাদন বাড়াতে সেচের ক্ষেত্রে ২০% বিদ্যুত বিলে ছাড়,সার ও বীজ ভর্তূকি প্রদান করছে। চাঁদপুরের সাথে কৃষিপণ্য দ্রব্য বাজারজাত করতে চমৎকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিদ্যমান রয়েছে ।

চাঁদপুরের সাথে নৌ-পথ,মতলব সেতু , চাঁদপুর সেতু , হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ সেতু ও পুরানবাজার সেতু, চাঁদপুর-হরিণা-শরিয়তপুর ফেরি সার্ভিস ও সর্বোপরি চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়ক,চাঁদপুর-লাকসাম ট্রেন যোগাযোগ প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখে আসছে।

আবদুল গনি , ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০