চাঁদপুর সরকারি শিশু সদন পরিবারের সদস্য ১১ বছর বয়সী শিশু খাদিজা আক্তার ইমু সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে ৪ মাস ধরে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন। দুর্ঘটনায় পায়ের সম্পর্ণ মাংস থেতলে পড়ে গেছে। শুধুমাত্র হাঁড় নিয়েই বেঁচে আছেন শিশু ইমু আক্তার।তার চিকিৎসার সাহায্যে আর্থিক সাহায্যের আবেদন করেছেন তার পরিবার।
আহত খাদিজা আক্তার ইমু চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার উহারুক খোর্দ্দ গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির জসিম উদ্দীনের মেয়ে। জন্মের পূর্ব থেকেই বাবাহারা এই শিশু খাদিজা আক্তার ইমু কয়েক বছর ধরে চাঁদপুর সরকারি শিশু সদন পরিবারের থেকে পড়ালেখা করছিলেন। সে বাবুরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী।
গত চার মাস পূর্বে এই শিশু ইমু আক্তার স্কুল থেকে ফেরার পথে অটো থেকে নেমে রাস্তা পার হওয়ার সময় পা পিছলে পড়ে গিয়ে একটি ট্রাকের সাথে সে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়। এতে তার ডান পায়ের হাটুর বাটি আলাদা হয়ে যায় এবং পা থেকে সমস্ত মাংস থেঁতলে পড়ে যায়। ঘটনার দিন স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার অবস্থা গুরুতর দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করেন। গত তিন মাস ধরে সরকারি ভাবেই তার চিকিৎসাসেবা চলছিলো।
ইমুর মাতা কুলসুমা আক্তার জানান, গত তিন মাস যাবৎ ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে তার চিকিৎসাসেবা চলেছিলো। সর্বশেষ গত মাসের ১২ তারিখ তাকে সেখান থেকে এনে পুনরায় চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করায়। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি জানান ইমু আক্তার জন্ম নেবার আগেই তার বাবা জসীমউদ্দীন নিখোঁজ হয়ে যায় তারপর থেকেই তিনি মেয়েকে চাঁদপুর সরকারি শিশু সদন পরিবারে দিয়ে দেন। তার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। কিন্তু তারা গরীব অসহায় বলে শিশু ইমু আক্তারকে আর্থিক সংকটের কারণে তারা উন্নত চিকিৎসা সেবা দিতে পারছেন না। তাই তাই এই অসহায় পরিবারটি ইমুর চিকিৎসার স্বার্থে বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন করেছেন।
কেউ তার চিকিৎসেবায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চাইলে শিশুটির নানার ব্যবহৃত 01835225399 নগদ নাম্বারে সাহায্য পাঠাতে পারেন। অথবা যোগাযোগ করার অনুরোধ করেছেন অসহায় পরিবারটি।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে থাকা সমাজসেবা বিভাগ থেকে জানা গেছে, গত তিন চার মাস ধরে সরকারিভাবেই শিশু ইমু আক্তারের চিকিৎসা সেবা চলছে। এ পর্যন্ত তার পেছনে চিকিৎসা বাবদ প্রায় ৪ লাখ টাকার মত খরচ হয়ে গেছে। সে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ হতে আরো অনেক অর্থের প্রয়োজন।
প্রতিবেদক: কবির হোসেন মিজি, ৯ অক্টোবর ২০২২
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur