সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরেও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মাধ্যমে উদযাপিত হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা। করোনা পরিস্থিতিতে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় এবার পূজা মণ্ডপ এবং বিভিন্ন মন্দিরে স্বল্প পরিসরে পূজার আয়োজন করা হয়েছে।
৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকাল হতে উপবাস থেকে মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে ভক্তরা প্রার্থনা জানায় বিদ্যার দেবীর। বিদ্যা ও জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সরস্বতীর চরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে ভক্তি জানায় তারা।
শহরের বিভিন্ন মন্ডপ ঘুরে দেখা যায় সেখানে বহু সংখ্যক দর্শনার্থীর ভীড় হয়ে উৎসবে পঞ্চমী তিথিতে বিদ্যা ও জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সরস্বতীর চরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে।
পুরাণবাজার বিদ্যার্থী সংঘ’র সৌরভ, পিয়াস, অপুসহ অন্যান্যরা জানায়, এবছর করোনা পরিস্থিতিতে স্বল্প পরিসরে পূজার আয়োজন করা হয়েছে। আমরা সরকারের স্বাস্থবিধী মেনে ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করছি।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে, দেবী সরস্বতী সত্য, ন্যায় ও জ্ঞানালোকের প্রতীক। বিদ্যা, বাণী ও সুরের অধিষ্ঠাত্রী। ধর্মীয় বিধান অনুসারে সাদা রাজহাঁসে চড়ে বিদ্যা ও সুরের দেবী সরস্বতী পৃথিবীতে আসেন। সরস্বতী নদীর তীরে দেবীর স্তোত্র ও আরাধনার মাধ্যমে বেদধ্বনি হতো বলে এই নদী বাগদেবীর বাসস্থান বলে অভিহিত। নদী অর্থে তিনি পবিত্র তোয়া সঙ্গীতময় ও সুন্দর স্তোত্রের উদ্বোধনকারী। বাগদেবী অর্থে তিনি মানব হৃদয়কে পবিত্র করেন। তিনি সুন্দর ও মর্ত্যবাক্যের প্রেরণকাত্রী। তিনি মহাসমুদ্রের মতো পরমাত্মার প্রকাশ করেন। তিনি সমুদয় মানব-মানবীর হৃদয়ে জ্যোতি সঞ্চারিত করেন। পরমাত্মার মুখ থেকে তার আবির্ভাব।
চাঁদপুর জেলা ও সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, এ বছর স্বরসতি পূজার ঐতিহ্য শোভা যাত্রা করা হবেনা। বিশ্ব ব্যাপী করোনা মহামারির কারণে কেন্দ্রীয় পূজা পরিষদের নির্দেশ মতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ইতি মধ্যে সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভা করা হয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সম্মতি প্রদান করেছে শোভা যাত্রা না করার জন্য।
প্রতিবেদক:আশিক বিন রহিম,১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur