Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরে শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটি গঠন
চাঁদপুরে শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটি গঠন
teacher

চাঁদপুরে শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটি গঠন

সারাদেশের ৯টি শিক্ষক-কর্মচারী সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত কেন্দ্রিয় শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটির ঘোষিত কর্মসূচির আলোকে বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) সন্ধা ৬ টায় চাঁদপুর শহরের লেডি দেহলভী উচ্চ বিদ্যালয়ে চাঁদপুরের মাধ্যমিক, কলেজ,মাধ্যমিক সহকারী ও কারিগরি শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়ে যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপত্বি করেন বাকশিস সভাপতি অধ্যক্ষ ড. আলমগীর কবির পাটওয়ারী ও পরিচালনা করেন বাকশিস সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাফায়াৎ আহমদ ভূঁইঁয়া ।

ঐ সভায় চাঁদপুরের বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি,বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষক সমিতি,মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি, মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি ও কর্মচারী ফেডারেশনের সকল জেলা-উপজেলা কমিটির সভাপতি ,সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন ও চলমান আন্দোলরে প্রেক্ষাপট নিয়ে বক্তব্য রাখেন । এর পূর্বে বেলা ৩ টায় স্ব-স্ব শিক্ষক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পৃথক পৃথক ভাবে সভা করার সন্ধা ৬ টায় সকল শিক্ষক সংগঠনের সমন্বয়ে ১১ দফা দাবিসহ শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের লক্ষ্যে চাঁদপুর জেলায় ৫১ সদস্য বিশিষ্ঠ ‘ শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটি ’ গঠন করা হয়। শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটির ৫ সংগঠনের সভাপতিকে আহবায়ক ও ৫ সাধারণ সম্পাদকে যুগ্ন-আহবায়ক করে ওই কমিটি গঠন হয় ।

আহবায়ক হলেন , বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির অধ্যক্ষ ড. আলমগীর কবির পাটওয়ারী , মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির শহীদুল্লা প্রধান , মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির মো. বিলাল হোসেন ও কারিগরির হায়দার আলী । সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সাফায়াৎ আহম্মেদ ভ‚ইঁয়া যুগ্ন -আহবায়ক, মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির জাহাঙ্গীর হোসেন ,মাধ্যমিকের মো, মিজানুর রহমান ও কারিগরির মো. নূরুল আমিন । এ ছাড়াও সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন অধ্যক্ষ সাফায়াৎ আহম্মেদ ভ‚ইঁয়া ও মো.বিলাল হোসেন এবং ৩ সদস্য বিশিষ্ঠ একটি উপদেষ্ঠা কমিটি করা হয়।

প্রসঙ্গত,দেশের শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবিসহ ১১ দফা বাস্তবায়নে ঢাকায় সারদেশের ৯ টি শিক্ষক সংগঠন নিয়ে শিক্ষক-কর্মচারী কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই সংগঠনের নেতৃবৃন্দের ডাকে শিক্ষক-কর্মচারীরা এখন আন্দোলনের মাঠে নামার প্রস্তুতি হিসেবে জেলায় জেলায় সংগ্রাম কমিটি গঠন করছেন। ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ১৬ ফেব্রæয়ারি প্রতিনিধি সভায় ১৪ মার্চ শিক্ষক মহাসমাবেশের এ ডাক দিয়েছেন। এবং চল চল-ঢাকায় চল কর্মসূচি হাতে নেয়।

সারাদেশে এ ব্যাপারে পোস্টার ও লিপলেট বিতরণ করা হয়। কেন্দ্রিয় শিক্ষক সংগ্রাম কমিটি ১৪ মার্চ ঢাকায় কেন্দ্রিয় শহিদ মিনারে সকাল ১০ টার মধ্যে দেশের মাধ্যমিক ও কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের সমাবেশ ঘটানোর আহবান জানান।

অতীতের সকল শিক্ষক আন্দোলনের চেয়ে এবারের শিক্ষক আন্দোলনের প্রেক্ষাপট,ব্যাপ্তি ও ঐক্য বেশ মজবুত। শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ করে বেরকারি-বেসরকারি বৈষ্যম্যের অবসান করানোর জন্যে সরকারকে অনেক পূর্বেই জানানো হয়েছে। জাতীয় শিক্ষক কর্মচারী ফ্রন্টসহ ৯ সংগঠন ‘ শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণসহ ১১ দফা’ দাবি বাস্তবায়নে রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ১০ টায় কেন্দ্রিয় কমিটির আহবানে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয় । অবহেলিত ও বঞ্চিত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার ন্যায্য দাবি আদায়ে দেশের ৯টি শিক্ষক সংগঠন আন্দোলনের ডাক দেয়।

দাবিসমূহের মধ্যে রয়েছে-শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ,৫% বার্ষিক প্রবৃৃদ্ধি,পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা,বৈশাখি ভাতা, বাড়ি ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধি, স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রধানশিক্ষক ও সহকারী প্রধানশিক্ষকের বেতন স্কেল সরকারি প্রধানশিক্ষক ও সহকারী প্রধানশিক্ষকদের মত প্রদান, পূর্ণাঙ্গ পেনশন সুবিধা করতে হবে,শিক্ষাখাতে জিডিপি’র ৬% ও জাতীয় বাজেটে ২০% বরাদ্দ,শিক্ষাবিভাগে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ৫% প্রেষণে নিয়োগ দান ,কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নে কারিগরি ও ভোকেশনাল বিশ্ববিদ্যালয স্থাপন ও জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে হবে ।

এ সব দাবিসমূহ বাস্তবায়ন করতে জাতীয় শিক্ষক নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে ৯ টি শিক্ষক সংগঠন থেকে ২৭ সদস্য বিশিষ্ঠ একটি শক্তিশালী‘ শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রম কমিটি ’ গঠন করা হয়।

প্রতিবেদক : আবদুল গনি
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৯:৩৫ পিএম,১মার্চ ২০১৮,বৃহসপতিবার
এজি