চাঁদপুরে কচুয়া,ফরিদগঞ্জ,হাজীগঞ্জ,শাহরাস্তি,মতলব উত্তর,মতলব দক্ষিণ, হাইমচর,চাঁদপুর সদরসহ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৬০ টি বাসস্থান নির্মাণ হয়েছে। প্রতিটি বাসগৃহ নির্মাণ কাজে ব্যয় হয়েছে ৯ লাখ ২৪ হাজার টাকা।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) চাঁদপুর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কচুয়ায় ৫টি, হাইমচরে ২টি, মতলব উত্তরে ১৩টি, মতলব দক্ষিণে ৫টি, চাঁদপুর সদরে ৭টি, ফরিদগঞ্জে ১২টি, হাজীগঞ্জে ৯টি ও শাহরাস্তিতে ৮টি বাসগৃহ নির্মাণ হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্নভাবে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করেছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার। তাদের মাসিক ভাতা বৃদ্ধিসহ দিয়েছে নানা সম্মান। এরই ধারাবাহিকতায় মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যারা গৃহহীন এবং অসহায় তাদেরকে বর্তমান সরকার ঘর নির্মাণ করে দিয়েছে।
সারাদেশের ৪শ’ ৮৪টি উপজেলায় ইতিমধ্যে ২৯৭১টি বাসগৃহ নির্মাণ করে দিয়েছে সরকার। চাঁদপুর জেলাও এ সুবিধার আওতায় এসেছে। এ জেলায় এ পর্যন্ত তৈরি হয়েছে ৬০টি বাসগৃহ।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, যেসব মুক্তিযোদ্ধা অস্বচ্ছল ও ভূমিহীন এ ধরনের মুক্তিযোদ্ধাকে সনাক্ত করেছে প্রথমে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নেতৃবৃন্দ। পরবর্তীতে এটি জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বাধীন জেলা কমিটিতে বাচাই করার জন্যে প্রেরণ করা হয়। ওই তালিকানুযায়ী বাসগৃহ নির্মাণের জন্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়। সেখান থেকে এসব বাসগৃহ নির্মাণের জন্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)কে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এসব কাজ দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ বাস্তবায়ন করেছে।
এলজিইডি চাঁদপুর-এর নির্বাহী প্রকৌশলী জিএম মুজিবর রহমান জানান, ২০০৯-২০১৮ সাল পর্যন্ত গত ১০ বছরে চাঁদপুর জেলার ৬০ জন মুক্তিযোদ্ধার জন্যে এসব বাড়ি নির্মাণ করতে সরকারের ব্যয় হয়েছে ৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। ৫ শতাংশ জমির উপর ৫শ’ স্কয়ার ফুটে এসব বাড়ি নির্মাণ হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধাদের বসবাসের জন্যে রানাঘর, টয়লেটসহ সকল সুবিধা রয়েছে এসব বাড়িতে। কোনো মুক্তিযোদ্ধার জমি না থাকলে খাস জমিতেও করা হয়েছে এসব বাড়ি। তিনি আরো জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং ভূমিহীন অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বসবাসের জন্যে এসব বাসগৃহ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সুবিধাভোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিবারগুলো।
করসপন্ডেট