সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জীবনযুদ্ধের নিদারুণ ভিডিও ভাইরাল হওয়া চাঁদপুরের ভাগ্যাহত সেই হতদরিদ্র ভ্যান চালক কুলসুমের লেখাপড়া ও অন্যান দায়িত্ব নিয়েছেন চাঁদপুরের নবাগত জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ।
শিশু কুলসুমের অসহায় পরিবারের দারিদ্রতা লাঘবে তাকে নগদ অর্থ, ঘর মেরামতে ঢেউটিন, শিক্ষা-সহায়তা এবং পুরো পরিবারে দেখভালের দায়িত্ব নেন।
জেলা প্রশাসকের ফেইবুক আইডি সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন আগে কুলসুম নামে ৮/৯ বছরের এক ভ্যানচালক মেয়ের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, মেয়েটি তার পরিবারের ভরণপোষণের জন্য ডাস্টবিন থেকে ময়লা কুঁড়িয়ে নিজেই ভ্যান চালিয়ে সেসব পরিবহন করে।
ভিডিওটি ভাইরাল হলে তা চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের দৃষ্টিগোচর হয়। তিনি তৎক্ষণাৎ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান-মাহমুদ-ডালিমকে সরেজমিনে মেয়েটির বাড়ি অনুসন্ধান করার জন্য পাঠান।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক অনুসন্ধানের পর জানা যায়, মেয়েটির পিতা এবং মাতা দুজনেই শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং জীবিকা অর্জনের মতো কর্মক্ষম নন।
অধিকন্তু, তাদের বাসস্থানও জীর্ণশীর্ণ এবং স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এমতাবস্থায়, জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ মেয়েটির পরিবারের দুরাবস্থা লাঘব করার জন্য তাদেরকে ২ বান্ডিল টিন প্রদান করেন। একইসাথে ঘরে নতুন টিন লাগানোর জন্য ৬হাজার টাকা নগদ প্রদান করেন। এছাড়াও মেয়েটির পিতা ও মাতার চিকিৎসার জন্য সিভিল সার্জন জনাব ডাঃ মোঃ সাখাওয়াত উল্যাহকে দায়িত্ব প্রদান করেন।
চিকিৎসাকালীন সময়ে দৈনন্দিন কার্যনির্বাহের জন্য তিনি ঐ পরিবারকে আরও ১০ হাজার টাকা প্রদানসহ মোট ১৬হাজার টাকা প্রদান করেন।
কুলসুম এবং তার ভাইয়ের পড়ালেখা নিশ্চিত করার জন্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জনাব মোঃ সাহাবউদ্দিনকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। এ পরিবারের সার্বিক কার্যক্রম মনিটর করার জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা শাহনাজকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
এদিকে জেলা প্রশাসকের এই মানবিকতাকে সাধুবাদ জানিয়ে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশংসার ঝড় বইছে। কুলসুমা এবং জেলা প্রশাসকের সহায়তার ছবিগুলো এই মাধ্যমে ব্যপক ভাইরাল হচ্ছে।
প্রতিবেদক:আশিক বিন রহিম,২০ জানুয়ারি ২০২১