চাঁদপুরে ব্যাভিচারের মামলায় শিক্ষকের কারাদণ্ড

চাঁদপুরে জেলা ও দায়রাজজ আদালতে এ প্রথম ব্যাভিচারের মামলায় এক শিক্ষকের কারাদণ্ড হয়েছে। দন্ডপ্রাপ্ত শিক্ষক রামগঞ্জ উপজেলার করপাড়া এলাকার আবুল হাসানের ছেলে নাজমুল হাসান (৪০)।

তার বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন শাহরাস্তি উপজেলার আনন্দপুর গ্রামের স্বামী কবির আহম্মেদ। গত ৮ মে ২০২৩ চাঁদপুর বিজ্ঞ বিচারক শাহরাস্তি আমলী আদালতে ব্যাভিচারের মামলা দায়ের করা হয়, যার মামলা নং ১৬৯/২০২৩।

সেলিনা পারভীন চাঁদপুর আদালত পাড়া এলাকার মৃত মমিনুল ইসলামের মেয়ে। তিনি লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ জিয়াউল হক জিয়া স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক। সেলিনা পারভীন এক সন্তানের জননী হওয়া শর্তেও আসামী একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নাজমুল হাসানের সাথে চাকুরির সুবাদে অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিষয়টি টের পেয়ে স্বাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে সেলিনা পারভীনের স্বামী কবির আহম্মেদ বাদী হয়ে চাঁদপুর আদালতে মামলা দায়ের করেন।

মামলার তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, প্রথম ঘটনা ২৮ এপ্রিল ২০২৩ শুক্রবার বিকেলে শাহরাস্তি উপজেলার স্বামীর বাড়ীতে তাদের অনৈতিক সম্পর্কের কথা মামলার বাদী জানতে পারে।
দ্বিতীয় ঘটনা গত ৭ মে ২০২৩ রবিবার দুপুরে চাঁদপুর খাঁন সড়কে ভাড়া বাসায় ঘটে।

এসব তথ্যপ্রমাণে আইনগত ভাবে প্রমান হওয়ায় ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার চাঁদপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত দন্ডবিধির ৪৯৭ ও ৪৯৮ ধারা অনুযায়ী ব্যাভিচারের ঘটনায় বিচারিক সহজাত ক্ষমতা বলে ১ম আসামী নাজমুল হাসানকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও নগদ ৫০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

রায়ের সময় আসামী আদালতে উপস্থিত থাকায় তাকে আটক করে জেলে প্রেরণ করা হয়।

মামলার বাদী স্বামী কবির আহম্মেদ বলেন, আমার স্ত্রী সেলিনা পারভীন তার প্রতিষ্ঠানের কৃষি শিক্ষার শিক্ষক নাজমুল হাসান এর সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি টের পেয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় ঘটনার সময় তাদেরকে এক সাথে দেখা যায়। আমার স্ত্রী পরিবারের কাউকে কোন কর্ণপাত করেনা। আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে নগদ লক্ষ লক্ষ টাকা, কয়েক ভরি স্বর্ণঅলংকার হাতিয়ে নেয়।

এ বিষয়ে মামলার দ্বিতীয় আসামী সেলিনা পারভীন বলেন, আমার সাথে ঐ শিক্ষকের ভালো সম্পর্ক ছিল। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক।

প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

Share