Home / শীর্ষ সংবাদ / চাঁদপুরে ব্যাংকগুলোর ২৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা কৃষি-দারিদ্র বিমোচন খাতে বিতরণ
tK.....
প্রতীকী ছবি

চাঁদপুরে ব্যাংকগুলোর ২৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা কৃষি-দারিদ্র বিমোচন খাতে বিতরণ

চাঁদপুরের ৮ উপজেলায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো ২০১৯-২০ অর্থ বছররে নভেম্বর পর্যন্ত ২৭ কোটি ৯৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকা কৃষিঋণ ও দারিদ্র বিমোচন বিতরণ করেছে বলে জেলা কৃষি ঋণ কমিটির এক সূত্রে জানা গেছে । যার বিতরণের হার বরাদ্দের ৩৯ % । এর মধ্যে রাষ্ট্রয়ত্ত ব্যাংক সমুহে ১৮ কোটি ৯৫ লাখ ৮২ হাজার টাকা এবং বেসরকারি ২৩টি ব্যাংক ৯ কোটি ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ।

ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার, সোনালী ব্যাংক লিমিডেট এর প্রিন্সিপ্যাল অফিস চাঁদপুর ও সদস্য সচিব জেলা কৃষি ঋণ কমিটি‘র এক রির্পোটে এ তথ্যে জানা গেছে ।

সংশিষ্ট ব্যাংকের আঞ্চলিক র্কাযালয়ের সূত্র মতে, সোনালী ব্যাংকের ২০ টি শাখার মাধ্যমে নভেম্বর পর্যন্ত ২ কোটি ৪৯ লাখ ৩৭ হাজার টাকা, অগ্রণী ব্যাংকরে ২০ টি শাখার মাধ্যমে ৫ কোটি ৯১ লাখ ৪ হাজার, জনতা ব্যাংকরে ১৫ টি শাখার মাধ্যমে ১ কোটি ৩২ লাখ ৭১ হাজার টাকা, বাংলাদশে কৃষি ব্যাংকরে ২৮ টি শাখার মাধ্যমে ৪৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা কৃষিঋণ ও দারিদ্রবিমোচন বিতরণ করেছে। যার গড় হার ২৬ % । ঋণগ্রহীতার সংখ্যা ৯৯ হাজার ৩ শ ৯৩ জন ।

কর্মসংস্থান ব্যাংকরে ৪ টি শাখার মাধ্যমে ৫ কোটি ৫৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা, রূপালী ব্যাংকে মাধ্যমে ২১ লাখ ১০ হাজার টাকা ও বিআরডিবি ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকা বিতরণ করেছে । চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ও জেলা সদরে অবস্থিত ২৩টি বেসরকারি ব্যাংক শাখাগুলো নভেম্বর পর্যন্ত ৯ কোটি ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বিতরণ করে । যার গড় হার ১৩% ।

ওই সব ব্যাংকে ২০১৯-২০ র্অথবছরে বরাদ্দ ২৪৮ কোটি ৭২ লাখ ৮৮ হাজার টাকা ।

এদিকে চাঁদপুরের ৮ উপজেলায় রাষ্ট্রায়ত্ত ঔ ব্যাংকশাখাগুলো ২০১৯-২০ র্অথবছরে নভেম্বর পর্যণ্ত পুরানো ঋণসহ আদায় করেছে ৬২ কোটি ৭৮ লাখ ২৮ হাজার টাকা এবং বেসরকারি ব্যাংকগুলো করেছে ৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা ।

এছাড়া ৩৮৩ কোটি ৫২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা বকয়ো হিসেবে জেলার কৃষি, দারিদ্র বিমোচন ও অন্যান্য খাতে পড়ে আছে। ব্যাংকগুলোতে মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণের পরিমাণ ৭৪ কোটি ৮১ লাখ ৭১ হাজার টাকা।

অগ্রণী ব্যাংকের একজন ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, ‘ বিভিন্ন শ্রেণিভিত্তিক ঋণ আদায়ে অগ্রণী ব্যাংক গ্রাহকদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। ব্যাংক কর্মকর্তগণ যেমন ঋণ আদায় করছে তেমনি তাৎক্ষণিক ঋণ প্রদানও করে যাচ্ছে।’

আবদুল গনি, ১২ জানুয়ারি ২০২০