Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরে ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড : অপরজনের যাবজ্জীবন
Kara jail
প্রতীকি ছবি

চাঁদপুরে ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড : অপরজনের যাবজ্জীবন

চাঁদপুর শহরের পুরাণ বাজার এলাকায় আড়ৎ পট্টীর ব্যবসায়ী মুকবুল হোসেন মালকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার অপরাধে লুৎফুর রহমান খালাশী (৩০) কে মৃত্যুদণ্ড এবং মো. সুজন খাঁ (২৫) কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

একই সাথে আসামীদ্বয়কে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ১ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। আদালত একই আসামীদের দণ্ডবিধির ৩৯৪ ধারায় দোষী সাবস্ত করে ৭ বছরের সশ্রম করাদণ্ড ও ১ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন।

সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুর দেড়টায় চাঁদপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মামুনুর রশিদ এ রায় দেন। হত্যার শিকার ব্যবসায়ী মুকবুল হোসেন মাল শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা থানার বড়ই গাঁও গ্রামের মৃত মিন্নত আলী মালের ছেলে। তিনি চাঁদপুরের পুরাণ বাজার দীর্ঘদিন ব্যবসা করতেন।

মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত মো. লুৎফুর রহমান শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা থানার পূর্ব ডামুড্যা গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে এবং যাবজ্জীবন প্রাপ্ত সুজন খাঁ চাঁদপুর শহরের মধ্যম শ্রীরামদী কবর স্থান রোডের নান্নু খাঁর ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ব্যবসায়ী মুকবুল হোসেন মাল গত ২০১৩ সালের ২৬ জানুয়ারী শহরের পুরাণ বাজার তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পলাশ ট্রেডার্সের ব্যবাসয়ীক লেন-দেন সম্পন্ন করে রাত ১০টায় গদি ঘরে ঘুমিয়ে থাকেন। রাত আনুমানিক সোয়া ১১টায় উল্লেখিত আসামীদ্বয় পাশ্ববর্তী হাজী এন্টারপ্রাইজের ভিতরে দিয়ে পলাশ ট্রেডার্সে প্রবেশ করেন। তারা মুকবুলের কাছ থেকে সিন্ধুকের ছাবি নিয়ে তারা নগদ টাকা পয়সা নেয়ার সময় মুকবুল চিৎকার করলে তারা ধারালো ছুরি দিয়ে তাকে গলাকেটে হত্যা করে। তার চিৎকারে সড়কে থাকা পুরাণ বাজার পুলিশ ফাঁড়ির টহলরত পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মুকবুলকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে এবং রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করে।

একই সময় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় লুৎফুর ও সুজন কে আটক করেন। এই ঘটনায় নিহত মুকবুল হোসেন মালের ভাই আবুল হোসেন বাদীয় হয়ে রাতেই আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চাঁদপুর মডেল থানার তখনকার সময়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রদ্বীপ কুমার মজুমদার তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ৩১ জানুয়ারী মামলার চার্জশীট দাখিল করেন।

সরকার পক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত (পিপি) সাইয়্যেদুল ইসলাম বাবু জানান, দীর্ঘ ৪ বছর মামলাটি চলমান অবস্থায় আদালত ২৩জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১৭জনের সাক্ষ্য গ্রহন করে। আসামীদ্বয় তাদের অপরাধ স্বীকার করায় এবং তাদের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় এ রায় দেন।

এছাড়া এ মামলার অপর আসামী জাহাঙ্গীর ঢালীর অপরাধ প্রমানিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেন। সরকার পক্ষের সহকারী আইনজীবী (এপিপি) ছিলেন দ্বেবাশীষ কর মধু।

প্রতিবেদক- মাজহারুল ইসলাম অনিক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৪: ৫০ পিএম, ২৩ জুলাই ২০১৭, রোববার
ডিএইচ

Leave a Reply