চাঁদপুর

চাঁদপুরে বৃদ্ধা মনোয়ারার ৯০ বছর বয়সেও ভাতা মেলেনি

চাঁদপুর শহরের অসহায় বৃদ্ধা মনোয়ারা বেগমের নব্বই বছর বয়সেও বয়স্ক ভাতা মেলে নি। একই ভুক্তভোগী তার স্বামীও ১শ’ বছর বয়সী বৃদ্ধ শামসু খন্দকারের বেলায়ও।

অনুসন্ধান চালিয়ে জানা যায়, স্বাধীনতার পর থেকে চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন মোলহেড এলাকায় নদীর পাড়ে মনোয়ারা বেগমের বসবাস। তার দু’জন ছেলো সন্তান রয়েছে। এর মধ্যে তার বড় ছেলে তাদের কাছে থেকে অন্যস্থানে থাকেন। তাই বৃদ্ধ বাবা-মায়ের কোনো ভরণ-পোষণের দায়িত্ব পালন করছেন না। ছোট ছেলে মহসিন একজন মানসিক রোগী।

এ অবস্থায় জবিন বাঁচাতে অসহায় মনোয়ারা বেগম বৃদ্ধ স্বামীকে নিয়ে মানুষের কাছ থেকে চেয়ে যান যা পান তা দিয়েই কোনো রকম দিন পার করছেন। আবার কোনো কোনো সময় তারা অনাহারক্লিষ্ট রাত কাটান ।

কিন্তু বর্তমান সরকার সারাদেশে এসব অসহায় বয়স্কেদের জন্য বয়স্ক ভাতা প্রদান করলেও প্রকৃত বয়স্কদের কপালে তা জুটছে না। সরকারের দেয়া এমন বয়স্ক ভাতা থেকে বঞ্চিত মনোয়ারা বেগম ও তার স্বামী শামসু খন্দকার।

বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন মোলহেড এলাকায়, নব্বই বছর বয়সী এ বৃদ্ধা মনোয়ারা মানুষের কাছ থেকে চাল এবং টাকা পয়সা উঠাতে দেখা যায়।

এ সময় তিনি বলেন , ‘তার মানসিক ছেলে মহসিনের কথায় সে ‘খোয়াজ খিজির’র নামে মিলাদ পড়ানোর জন্য মানুষের কাছ থেকে এ সাহায্য উঠাচ্ছেন।

এ বৃদ্ধাকে দেখে জানতে চাওয়া হয় তিনি কোনো বয়স্ক ভাতা পান কিনা। মনোয়ারা বলেন, ‘এত বছর বয়সেও তিনি আজো কোনো বয়স্ক ভাতা পান নি।’ এমন কি সরকারিভাবে বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা থেকেও বঞ্চিত এ অসহায় বৃদ্ধার পরিবার।

তাই জীবনের এমন শেষ প্রান্তে এসেও যেনো অসহায় বৃদ্ধা মনোয়ারা ও তার স্বামী শামসু খন্দকার যেনো সরকারের দেয়া বয়স্ক ভাতার সুবিধা ভোগ করতে পারেন সে জন্য চাঁদপুরের জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।

এ বিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহআলম বেপারী বলেন, ‘মনোয়ারা বেগমের বিষয়টি আমার জানা ছিল না। বয়স্ক ভাতার জন্য তিনি কখনো আমার কাছে আসে নি। যদি আসতো তাহলে ব্যবস্থা করে দিতাম। এখন যখন জেনেছি তিনি আমার কাছে আসলে বয়স্ক ভাতা পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিবো।’

প্রতিবেদক: কবির হোসেন মিজি
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৮:১০ পিএম ৩০ আগস্ট ২০১৭
এজি

Share